সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সোনা চোরাচালান

সততার সংকটই প্রধান সমস্যা

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো যেন সোনার খনিতে পরিণত হয়েছে। বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কোনো কোনো বেসরকারি বিমান সংস্থার সহযোগিতায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সোনার খনি হয়ে উঠেছে। মাত্র এক সপ্তাহেই ২৩ কেজির বেশি সোনা উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দারা। সবশেষ ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক নিরাপত্তাকর্মীর দেহ তল্লাশি করে ৮০টি সোনার বার জব্দ করা হয়। এসব সোনার ওজন ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম, বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর আগে গত ৫ অক্টোবর দুবাই থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটের টিস্যু বক্স থেকে ১২০টি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ১৩.৯২ কেজি ওজনের বারগুলোর মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িতরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, পাচারকালে যে পরিমাণ সোনা উদ্ধার হচ্ছে তারচেয়ে কয়েক গুণ বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে সোনা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে স্মাগলাররা। অনুমান করা হয়, সোনা চোরাচালানে বাংলাদেশের দুই বিমানবন্দরকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বাংলাদেশে আসা সোনার একটি বড় অংশ পাচার হয় ভারতে। ভারতে সোনার দাম বেশি এবং সে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চোরাচালান রোধে কঠোর হওয়ায় বাংলাদেশকেই ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যে সোনা চোরাচালান হয়ে আসছে তার প্রতি ২০টির একটি ধরা পড়ছে। অনেক সময় সোনা উদ্ধারের ঘটনায়ও থাকে সাজানো নাটক। সোনা চোরাচালান রোধে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবার সততা নিশ্চিত করা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর