মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

দুর্যোগের দুর্নীতি

সরকারি কর্মচারী নিয়োগে চাই স্বচ্ছ পদ্ধতি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১০৮টি পদের নিয়োগে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির বরপুত্ররা এমন একাধিক প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করেছেন যারা লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় তাদের মৌখিক পরীক্ষায়ও ডাকা হয়নি। ঘুষ-দুর্নীতির নোংরা জীবেরা নিজেদের পকেট পূর্তির বিনিময়ে অযোগ্যদের পক্ষে নিজেদের মত রেখেছেন। সরকারি কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ-দুর্নীতি অতি সাধারণ চিত্র হলেও বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ায় এর কুশীলবরা আপাতত বিপাকে পড়েছেন। নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দুদকও বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামতে যাচ্ছে। ৩ অক্টোবর দুদকের একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে অভিযান চালিয়েছে। একইভাবে ওই মন্ত্রণালয়ের অন্য প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ১৪০টি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ব্রিজ-কালভার্ট প্রকল্পের ১০৫ আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগেও উঠেছে বাণিজ্যের অভিযোগ। অফিস সহকারী পদের পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস এবং আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগে আর্থিক লেনদেন হয়েছে এমন কথা এখন মুখে মুখে। ৩ অক্টোবর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দুই দফতরের মোট ৩৫৩ পদের নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের লোক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটির সক্রিয়তা প্রশংসার দাবিদার। তবে তদন্তের ফলাফল যা-ই হোক সারা দেশের সরকারি কর্মচারী নিয়োগে যে মহাদুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয় তার অবসানে কোনো ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয় না। ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে বিসিএসের আদলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলে সেটিই হবে সর্বোত্তম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর