রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যকর খাবার

কম খরচে পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে

যে কোনো সংক্রমণ প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রয়োজনীয় মাত্রায় পুষ্টি গ্রহণে একদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, অন্যদিকে বাড়ে শারীরিক সক্ষমতা। দেশে একজন মানুষের দৈনিক প্রয়োজন ২১০০ ক্যালরি। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় পুষ্টি ব্যবস্থাপনার আলাদা নির্দেশিকা তৈরি করেছে। পরিমাণ ও পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত ‘স্বাস্থ্যকর’ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পায় না দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ শক্তিবর্ধক, পুষ্টিকর ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারছে না তারা। অঞ্চল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি খুলনা বিভাগে, আর কম চট্টগ্রামে। শহরের তুলনায় গ্রামে ঘাটতি বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণা বলছে, পুষ্টিকর ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার তুলনামূলক কম খাচ্ছে গড়ে সব বয়সের মানুষ মিলে ৪০-৫০ শতাংশ। অর্থাৎ তারা শক্তিবর্ধক ভাত, চিনি ও চর্বিজাতীয় খাবার পর্যাপ্ত খাচ্ছে। সেদিক থেকে ভাত ও চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণের হার কমেনি। অবশ্য খাদ্যে বৈচিত্র্য বেড়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর এই গবেষণা প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা, ইউরোপীয় কমিশন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় এই গবেষণায় সহায়তা করে। অনেক সময় বাজারে থাকা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকে না। কম খরচে কীভাবে দরিদ্র মানুষ খাবার পেতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। যেহেতু খাদ্যে বৈচিত্র্যের পাশাপাশি খাদ্য গ্রহণের হার বেড়েছে।  সুতরাং বাজার মনিটরিং জরুরি। শস্য হিসেবে ভাত এখনো সবকিছুর ওপরে আধিপত্য বজায় রেখেছে। সেই তুলনায় ডাল, বাদামসহ বীজজাতীয় খাদ্য এবং ফল গ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে অনুপুষ্টি বা ভিটামিনজাতীয় খাদ্যের ঘাটতি বেশিই রয়ে গেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর