সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

বিভেদকামীদের রুখতে হবে

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন জাতীয় ঐক্যের অপরিহার্য উপাদান। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর তান্ডবে। সে ধ্বংসস্তূপ থেকে রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ। জন্মলগ্নে যে দেশকে ব্যঙ্গ করা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি বলে সে দেশ আজ দুনিয়ার উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিকে নস্যাৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছে অশুভ আধিপত্যবাদী শক্তি। বাংলাদেশের জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করাকে তারা টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে। কুমিল্লার দীঘিরপাড়ের অবাঞ্ছিত ঘটনার পেছনে সম্ভবত কাজ করেছে বিদেশি অপশক্তির পুতুল নাচ। আশার কথা এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা বলেছে। সবার অভিন্ন উচ্চারণ কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর সময় এদেশে মুসলমানদের আগমন। বিভিন্ন সময়ে সুফি সাধকরা এসে ইসলামের সুমহান শান্তির বাণী প্রচার শুরু করেছেন। তাদের অসাম্প্রদায়িক আচরণ মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়ে এ দেশের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ পাশাপাশি বাস করছে শত শত বছর ধরে। সেই হাজার বছরের সম্প্রীতি মতলববাজদের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বিনষ্ট হতে পারে না। কোনো বিবেকবান মানুষ অন্য ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে না। ঘটনার দিন সকাল থেকে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দিয়েছে তাদের কর্মকান্ডে বোঝা যায় এটি পরিকল্পিত।  মানবতার শত্রু বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বার্থে সাম্প্রদায়িক  সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর