বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রতীক ছিলেন তিনি

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয় হিজরি সনের ১২ রবিউল আউয়াল দিনটিকে। আরবের মক্কা নগরীর অভিজাত কোরাইশ গোত্রে জন্মগ্রহণকারী ওই মহাপুরুষ মানব জাতিকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করেন। প্রচার করেন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অমিয় বাণী। তিনি ছিলেন সহনশীলতার অনন্য উদাহরণ। মহানবী পৃথিবীতে এমন একসময় আবিভর্‚ত হন যখন আল্লাহর শিক্ষা ভুলে মানব জাতি বিপথে পরিচালিত হচ্ছিল। আরবসহ সারা বিশ্বের মানবসমাজের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল হানাহানি ও প্রতিহিংসাপরায়ণতা। সুনীতি ও সুবিবেচনা মানবসমাজ থেকে নির্বাসনে যাচ্ছিল। উপেক্ষিত হতো নারীর সম্মান। পবিত্র ভূমি মক্কায় তিনি যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেন সে সময় আরব উপদ্বীপ ও সংলগ্ন জনপদগুলোর অবস্থা ছিল ভয়াবহ। মহানবী ছোটবেলা থেকেই ছিলেন শুদ্ধাচারী। অসত্য, অন্যায় ও অকল্যাণের পথ থেকে তিনি থাকতেন যোজন যোজন দূরে। অসত্য ও অবিশ্বস্ততা আরব সমাজের নিয়ামক শক্তিতে পরিণত হলেও তিনি মক্কাবাসীর কাছে সম্বোধিত হতেন ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী হিসেবে। ঐশীগ্রন্থ আল কোরআন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর নাজিল হয়। মানব জাতিকে আলোর পথে উদ্বুদ্ধ করেছে এই ঐশীগ্রন্থ। শান্তির সমাজ গঠনে আল কোরআন ও মহানবীর শিক্ষা সব যুগেই প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। এই মহাপুরুষ মদিনায় দুনিয়ার প্রথম কল্যাণ রাষ্ট্রের সূচনা করেন। সে রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকার স্বীকৃত হয়। অসাম্প্র্রদায়িকতা এবং সহিষ্ণুতা ছিল এই মহাপুরুষের শিক্ষা। ঈদে মিলাদুন্নবীতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তাঁর সহিষ্ণুতার শিক্ষা আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারে। হঠকারিতা প্রত্যাখ্যান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য এ আদর্শের প্রাসঙ্গিকতা আজকের এ যুগে সবচেয়ে বেশি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর