শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় সহিংসতা

দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

কুমিল্লায় পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। প্রচার হওয়া দুটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, এক যুবক রাতে পূজামন্ডপের কাছের একটি মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ এনে মন্ডপে রাখছেন। এ রকম একজনকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ সম্মানের সঙ্গে যুগের পর যুগ বসবাস করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ রক্ত দিয়েছে। পবিত্র কোরআন অবমাননা কেন্দ্র করে কুমিল্লায় যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় অপরাধী যে-ই হোক তার বিচার করা হবে। কুমিল্লা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। তিনি বলেন, মানবধর্মকে সম্মান করা ইসলাম আমাদের শেখায়। নিজের ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার আছে, অন্যের ধর্মকেও কেউ হেয় করতে পারে না। অন্যের ধর্মকে হেয় করলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়। নিজের ধর্মের সম্মান নিজেকেই রক্ষা করতে হবে। মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ধর্মের নামে রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির সাংঘাতিক উগ্রবাদিতার পরিচয় দিয়েছে। তারা ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ২০১৩ সালে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামায়াত-শিবির ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছিল। তার কোনো বিচার কিংবা শাস্তি কিছুই হয়নি। কুমিল্লার ঘটনার পর ধারণা করা হচ্ছে তাদের কার্যক্রম থেমে নেই। উগ্রবাদিতা রুখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। কুমিল্লা, রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে অন্যায় হয়েছে, যারা অন্যায় করেছে তাদের চিহ্নিত করে অনিবার্যভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর