সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পায়রা সেতু

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে

পটুয়াখালীর পায়রা সেতুর উদ্বোধনকে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন এ সেতু উদ্বোধনের ফলে রাজধানী ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়কপথে সরাসরি যোগাযোগের আরও একধাপ অগ্রগতি হলো। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে কোনো ফেরি ছাড়াই ঢাকা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে পায়রা এবং পর্যটন স্বর্গ কুয়াকাটায় যাওয়া যাবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে এ সেতুটি। রবিবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি পটুয়াখালীর পায়রা সেতু উদ্বোধন করেছেন। তিনি ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ স্থাপন করেন এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর। ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালী অংশে দুমকী উপজেলার লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পায়রা সেতু। এ সেতু নির্মাণের নকশা কিছুটা ব্যতিক্রম। চার লেনবিশিষ্ট সেতুটি নির্মিত হয়েছে এক্সট্রাডোজড ক্যাবল স্টেইড প্রযুক্তিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুও এই প্রযুক্তিতে নির্মিত। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত থাকবে। সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প বিকাশে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে পায়রা সেতু। সেতু নির্মাণের ফলে প্রথমবারের মতো বরিশাল থেকে কুয়াকাটা ফেরিবিহীন যোগাযোগ সুবিধার আওতায় এসেছে। সেতুর কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের চেয়েও কাছে চলে এসেছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, যা এ দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পায়রা সেতুর ফলে ঢাকার সঙ্গে পায়রার যোগাযোগ স্থাপনে ব্যবসায়ীরা এ বন্দরের বিষয়ে উৎসাহী হবে। পায়রা বন্দর ঘিরে সংলগ্ন এলাকাগুলোতে শিল্প স্থাপনের তাগিদ অনুভব করবেন শিল্পোদ্যোক্তারা। বিদেশি বিনিয়োগও উৎসাহিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর