শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মাদক ব্যবসা

সরিষায় ভূত থাকলে বন্ধ হবে না

মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের সর্বাত্মক পদক্ষেপ সত্ত্বেও ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টির কোনো অবকাশই নেই। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না মাদক আগ্রাসন। গডফাদার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের হাত ঘুরে ভয়ংকর সব মাদক পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতার কাছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বোকা বানিয়ে সাইবার জগতে এখনো বসছে নিয়মিত মাদকের হাট। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন ৯ শতাধিক গডফাদারসহ ১০ হাজার মাদক ব্যবসায়ীর বিপরীতে র‌্যাব-পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ রাষ্ট্রের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্ষমতা নিয়ে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রকারান্তরে সত্যকে এড়িয়ে যাওয়ার নামান্তর। আসল সমস্যা অন্যখানে। ভূত তাড়ানো হবে যে সরিষা দিয়ে সেখানেই রয়েছে সরিষার ভূত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মাদক অধিদফতর কর্মকর্তাদের একাংশের সততার সংকট মাদক ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখছে। উভয় পক্ষের মুনাফার ঝুলি ক্রমে স্ফীত হচ্ছে। একই কারণে এ-সংক্রান্ত মামলার যথাযথ তদন্তও হয় না। রাঘববোয়াল না ধরে চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। মামলায় শুধু বহনকারী এবং তার ওপরের দু-এক জনের নামই অভিযোগপত্রে আসে। অভিযোগপত্রে গডফাদার কিংবা তার ঠিক পরের স্তরের ব্যবসায়ীদের নাম আসার উদাহরণ খুবই বিরল। যে কারণে অলিগলিতেই মিলছে ক্রেজি ড্রাগস ইয়াবা, হেরোইন-ফেনসিডিল। মাদক আগ্রাসন থামাতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রদীপ গংদের নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা পেয়েও সরকারের বদলে নিজেদের মাদক ব্যবসায়ীদের কর্মচারী ভাবেন তাদের চাকরিচ্যুতই নয়, শাস্তির ব্যবস্থা করাটাও জরুরি। তা সম্ভব হলে মাদক আগ্রসন থামবে। ভূত তাড়াতে যে সরিষা দরকার তাতে যাতে ভূত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা খুবই জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর