শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

ভর্তুকি দিয়ে হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশাহারা সাধারণ মানুষ। হতদরিদ্র তো বটেই নিম্নমধ্যবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে। বর্তমান সরকারের এক যুগে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার যে দৃষ্টিকাড়া সাফল্য অর্জিত হয়েছিল তা কেড়ে নিয়েছে গত এক-দেড় মাসের মূল্যবৃদ্ধির বেপরোয়া দানব। নিত্যপণ্য চাল, ডাল, তেল, চিনি, পিঁয়াজের দাম বেড়েছে হু হু করে। মাছ, গরু বা খাসির মাংসের বদলে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির মাংস খেত গরিব মানুষ। সেই ডিম ও ব্রয়লার মুরগিও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৪০ টাকা। ১ কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, যা এক মাস আগেও ছিল ১৪০ টাকা। আর ছয় মাস আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। নিত্যপণ্যের খরচ মেটাতে দিশাহারা গরিব, নিম্নমধ্যবিত্তরা। আয়-ব্যয়ের তাল মেলাতে পারছে না কিছুতেই। জীবন চালাতে ধারদেনা করছে প্রতিনিয়ত। ডাল-ভাত খেতে নাভিশ্বাস উঠেছে দিনমজুরদের। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের হিসাবে গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পিঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের দাম।  দ্রব্যমূল্য হঠাৎ বেড়েছে করোনাকালীন সংকটের কারণে। তেল, চিনি, ডাল তিনটিই আমদানি-নির্ভর পণ্য। করোনার কারণে উৎপাদক দেশগুলোয় এসব পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়নি উৎপাদকরা। ফলে তাদের অনেকেই উৎপাদনে উৎসাহ হারায়। দুনিয়াজুড়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন সীমিত হয়ে পড়ায় বেড়ে গেছে দাম। করোনাকালে ডিম ও মুরগির খামারিরা লোকসান দিয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষুদ্র খামার বন্ধ হয়ে গেছে। তার প্রতিক্রিয়ায় মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে উঠছে। এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে পোলট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি। এ সমস্যার সমাধানে সরকারকে বাজারের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভাবতে হবে।

সর্বশেষ খবর