শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার তৃতীয় ঢেউ

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিকল্প নেই

দেশে কভিড-১৯ সংক্রমণ হার এখন ১ শতাংশের ঘরে। স্বাভাবিকভাবে চলছে অফিস-আদালত, কলকারখানা। খুলেছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে সব জায়গায়। এ অবহেলার সুযোগে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আত্মতুষ্টিতে থাকার সুযোগ নেই। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন ঢেউ যে আসবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। করোনার সব ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে পারে মাস্ক। করোনার শুরু থেকে যে স্বাস্থ্যবিধি শেখানো হচ্ছে তা অনুসরণ করতে হবে। না ধুয়ে হাত মুখে দেওয়া যাবে না। করোনার উপসর্গ দেখা গেলে আরটি-পিসিআর কিংবা অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। জ্বর, কাশি নিয়ে বাইরে বের হওয়া যাবে না। নিজের, পরিবারের এবং চারপাশের মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। করোনা রোগী শনাক্তে আরটি-পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট ও জিন এক্সপার্ট মেশিনে করোনা শনাক্তের কাজ চলছে। এজন্য জ্বরসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করতে হবে। রোগী শনাক্ত হলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় নিতে হবে। দেশে ব্যাপক পরিসরে চলছে করোনার টিকাদান। টিকা নিলে করোনার ঝুঁকি ও জটিলতা দুটোই কমবে। তবে পরীক্ষায় গ্রামের মানুষের যেমন আগ্রহ কম, তেমন অবকাঠামোগত সুবিধাও অপ্রতুল। টিকাদান কর্মসূচিও এখন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ মূলত শিক্ষিত, শহুরে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের মধ্যে। সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ে টিকা গ্রহণের পক্ষে প্রচার বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে যে শিথিলতা চলছে তা অবশ্যই দূর করতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি দ্রুত টিকা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর