রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

চিংড়ি রপ্তানি

মাঠপর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে

হ্যাচারিতে নয়, এবার পুকুরেই উৎপাদন করা যাবে গলদা চিংড়ির পোনা। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। পোনার অভাবে চিংড়ি চাষ যে সংকটের মুখে পড়েছিল তা কেটে যাবে। প্রচলিত সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি হেক্টরে যেখানে চিংড়ির উৎপাদন ছিল ৩৫০-৪০০ কেজি সেখানে আধা-নিবিড় চাষে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৭-৮ হাজার কেজি। উন্নতমানের পোনা সংগ্রহ, ঘেরে পানির ঘনত্ব বেশি ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় চিংড়ির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। সেই সঙ্গে দামও তুলনামূলক বেশি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। জানা যায়, দেশের হিমায়িত মৎস্য রপ্তানির সিংহভাগ চিংড়ি। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় চিংড়ির প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলো পড়েছে সংকটে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চিংড়িতে উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)-এর তথ্যমতে দেশে ১১০টি চিংড়ি কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার ৮০ শতাংশই অব্যবহৃত থাকছে। ফলে মাঠপর্যায়ে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ। করোনাভাইরাসের কারণে গত অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছের ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়। তাতে ৫ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৬০ কোটি টাকার রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রপ্তানিমুখী হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ শিল্পের সঙ্গে ৬০ লাখের বেশি মানুষ জড়িত। সুতরাং বেশি চিংড়ি উৎপাদন হলে রপ্তানি বাড়বে। এবার রপ্তানিতে চাহিদা থাকায় সরাসরি ঘেরে এসেই চিংড়ি সংগ্রহ করছেন কারখানার প্রতিনিধিরা। চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সার্বিক অবস্থা, গুণাগুণ ও পরিবেশগত বিষয় নিয়ে কাজ করছে। উন্নত জাতের পোনা, ঘেরে তলানিতে জমাকৃত জৈব পদার্থ পরিষ্কার (বটম ক্লিন), পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও উন্নত খাবার সরবরাহের ফলে আধা-নিবিড় চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এদিকে উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি চাষে রাস্তাঘাট, অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর