সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চোরদের পাকড়াও করুন

জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত হোক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ সিংহভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও দেশবাসীর জন্য যে অস্বস্তিকর তাতে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগই নেই। এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই তত্ত্বের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত এই মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি খোয়া গেছে অতি সম্প্রতি। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এ নিয়ে যথারীতি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কৃতিত্বও দেখিয়েছে বহুল আলোচিত এই মন্ত্রণালয়। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদফতরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি। ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। ফাইল চুরির ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্তাব্যক্তির ভাষ্য, ফাইলগুলো ছিল বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ক্রয়সংক্রান্ত প্রশাসনিক আদেশের। সে ফাইলগুলো নিয়ে চোররা কী করবে সে প্রশ্ন তোলার চেষ্টাও তিনি করেছেন। এমন সরল মন্তব্যকারীদের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ইচ্ছা তাই ঘটছে বললেও হয়তো অত্যুক্তি হবে না। বরং প্রশ্ন ওঠা উচিত, সুরক্ষিত সচিবালয় থেকে ফাইল চুরি হয় কীভাবে। সেখানে ফাইল রাখার জায়গাগুলোতে তো সিসি ক্যামেরা থাকার কথা। আমরা আশা করব এ সংক্রান্ত তদন্তে সত্যিকারের চোরদের পাকড়াও শুধু নয়, এ মন্ত্রণালয়কে তাদের জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত করারও চেষ্টা করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর