শিরোনাম
বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য

চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যমুক্ত হোক

চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজদের এক সিন্ডিকেট। চাঁদাবাজির জন্য তারা বাংলাদেশের আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্যের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশে সৃষ্টি করছে অন্তরায়। আমদানিকৃত পণ্যের একটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশে লাগছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন। এ দীর্ঘসূত্রতা বন্ধে বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভারতীয় কাস্টমস, পেট্রাপোল বন্দর ও সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করলেও সুফল আসেনি। এর ফলে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। স্মর্তব্য, প্রতি বছর ভারতের সঙ্গে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। ইতিপূর্বে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো ভারত থেকে। চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য কারণে বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী সিন্ডিকেট পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে ৩০ থেকে ৩৫ দিন লাগছে। ওপারে আটকে থাকলে ৬০ হাজার রুপি পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য আমদানিতে জটিলতা দেখা দেওয়ায় প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশি আমদানিকারকরা। পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। যার অবসানে চাঁদাবাজি বন্ধে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর