বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে আবারও রেকর্ড

এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

করোনাকালীন বিপর্যয়ের পর মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত। সদ্য বিদায়ী অক্টোবরে ৪৭২ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সমান। স্বাধীনতার পর এক মাসে এত বেশি রপ্তানি আয় গত ৫০ বছরে আর কখনো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগের মাসেও সর্বাধিক আয়ের রেকর্ড হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে দেশের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৪১৭ কোটি ডলারের, যা ছিল অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। অক্টোবরে আগের মাসের রেকর্ড ভেঙেছে। এ মাসে যা আয় হয়েছে তা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। আগের বছরের অক্টোবরে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯৪ কোটি ডলার। মাসভিত্তিক হিসাবে রপ্তানি বাড়ায় এটি সামগ্রিক আয়েও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবর সময়ে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। করোনাভাইরাস দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। সার্বিকভাবে জাতীয় অর্থনীতির জন্যও ডেকে এনেছে বিপর্যয়। সরকার প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতির গতি সচল রাখার চেষ্টা করছে দেড় বছর ধরে। এভাবে দীর্ঘদিন টিকে থাকাও কঠিন। রপ্তানি খাতের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি সে হতাশা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাকালে সারা দুনিয়ায় প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সব দেশ। বাংলাদেশের পণ্যের প্রধান ক্রেতা ইউরোপ-আমেরিকার বাজার দেড় বছর পর ভালোভাবে উন্মুক্ত হওয়ায় রপ্তানিতে গতি এসেছে। বিশেষত পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ প্রতিদ্ধন্ধীদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারছে কম দামের কারণে। রপ্তানি বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে সুবাতাস প্রবাহিত করবে। এ সাফল্য ধরে রাখতে সারা জাতিকেই তৎপর থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর