শিরোনাম
রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জুতার কারখানায় আগুন

মৃতদের স্বজনরা যেন ক্ষতিপূরণ পান

পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের কামালবাগে জুতার কারখানায় আগুন লেগে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ শ্রমিক। অঙ্গার হয়ে যাওয়া দেহাবশেষ দেখে বোঝারও উপায় নেই দুর্ঘটনার আগেও তারা অন্যসব মানুষের মতো বিরাজ করেছেন এ পৃথিবীতে। জুতার কারখানায় থাকে আগুন লাগার মতো অনেক দাহ্য উপাদান। লোকালয়ে এ ধরনের কারখানা থাকার মানেই হলো অগ্নিকান্ডকে ডেকে আনা। অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত জুতা তৈরির কারখানাটিতে ড্রামভর্তি কেমিক্যাল, রাবার-জাতীয় কাঁচামাল, প্লাস্টিক ও ডিওপি তেল ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আর আগুন মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা মদিনা কাঁচাবাজারে। মূলত দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকান্ডে আটকে পড়ে প্রাণ হারান পাঁচজন। ওই সময় প্রাণে বাঁচতে ভবন থেকে লাফ দেন দুই শ্রমিক। পরে তাদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাশও রাখা হয়েছে হাসপাতাল মর্গে। মৃতদের স্বজনদের বলা হয়েছে লাশ নিতে হলে ডিএনএ টেস্ট করাতে হবে। কারণ লাশগুলো দেখে কোনটা কার বোঝার উপায় নেই। থানা পুলিশ তাদের জানিয়েছে ডিএনএ টেস্ট করতে তিন সপ্তাহ লাগবে। পুরান ঢাকায় নিমতলী ও চুড়িহাট্টার দুটি অগ্নিকান্ডে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির পর আশা করা হয়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা বিশেষ করে রাসায়নিক গুদামগুলো অন্যত্র অপসারণ করা হবে। কিন্তু সোয়ারীঘাটের সর্বশেষ অগ্নিকান্ড প্রমাণ করেছে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পর কর্তৃপক্ষের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙলেও মানুষের হইচই বন্ধ হলেই তারা আবারও ঘোর নিদ্রায় মগ্ন হয়ে পড়েন। সোয়ারীঘাটের অগ্নিকান্ডের পর কর্তৃপক্ষের সুমতি হবে আমরা এমন নির্বোধ প্রত্যাশা পোষণ করতে চাই না। শুধু দাবি জানাই ভস্মীভূত পাঁচ শ্রমিকের পরিবারসহ ভুক্তভোগীরা যেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ পান। এ ক্ষেত্রে কোনো টালবাহানাই কাম্য নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর