মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাস লঞ্চের ভাড়া বাড়ল

জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেন যাত্রীরা

পরিবহন মালিকরা বুঝিয়ে দিলেন তাদের দৈত্যাকৃতির কাছে দেশবাসী কতটা অসহায়। ডিজেলের দাম বাড়ানোর অজুহাত খাড়া করে ধর্মঘটে নেমেছিলেন পরিবহন মালিকরা। বন্ধ রেখেছিলেন বাস, চঞ্চ। বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ ও লঞ্চ ভাড়া ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির বিনিময়ে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর জেরে বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও বাস মালিকদের রবিবারের সভায়। সারা দেশে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা আর মহানগরীতে বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে। মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। এ হিসাবে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ আর ঢাকায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ এবং মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীতে যেসব বাস চলে তার ৬০ শতাংশের বেশি সিএনজিচালিত। সেসব বাস কেন ধর্মঘটে নেমেছিল তার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার গরজ অনুভব করেনি পরিবহন খাতের মাফিয়ারা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুধু ডিজেলচালিত বাসেই যাত্রী ভাড়া বাড়বে। কিন্তু সে ব্যাখ্যাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডিজেল-সিএনজি নির্বিশেষে সব যানবাহনেই ঘটেছে ভাড়া বৃদ্ধির কারসাজি। ভাড়া বৃদ্ধির বদৌলতে পরিবহন মালিকরা যে লাভবান হবেন তাতে সন্দেহ নেই। যারা এ ভাড়া বৃদ্ধিতে সায় দিয়েছেন তাদের লাভ কতটুকু সে বিতর্কে না গিয়েও আমরা যাত্রীদের জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা শুধু বলতে চাই, ভাড়া বৃদ্ধির জন্য ধর্মঘটের বদলে মালিক-শ্রমিকরা বৈঠক করে ঘোষণা দিলেই তা হতো বেশি শোভনীয়। অসহায় যাত্রীদের তা মেনে নেওয়া ছাড়া তো গত্যন্তর ছিল না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর