বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রসুলের চরিত্র যেমন ছিল

মাহমুদুল হক জালীস

রসুলের চরিত্র যেমন ছিল

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা. ছিলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য এক অনুপম আদর্শ। এ আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই কল্যাণ ও সফলতা নিহিত। কারণ তিনি ছিলেন সৃষ্টির সেরা মানুষ। এ কথা নিরপেক্ষ ইতিহাসবিদরাও অকপটে স্বীকার করেছেন যে মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁর চরিত্র সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।’ সুরা কালাম আয়াত ৪। তিনি পৃথিবীতে আগমন করেছেন সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্যই পাঠানো হয়েছে।’ তাঁর নৈতিক চরিত্রের মান নিয়ে মক্কার কাফির-মুশরিকদেরও কোনো অভিযোগ ছিল না। তাঁর বিশ্বস্ততা ও উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের ছিল না কোনো দ্বিমত। সবাই তাঁকে মান্য করত। রসুল (সা.)-এর নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিতে গিয়ে হজরত আলী (রা.) বলেছেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র।’ রসুল (সা.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে সবার জন্য অনুসরণীয় ও মুক্তির কান্ডারি হিসেবে। আল্লাহর ভালোবাসা প্রাপ্তি নবীর পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের ওপর নির্ভরশীল। এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে রসুল! তুমি লোকদের বলে দাও যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস তাহলে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহও তোমাদের ভালোবাসবেন।’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ৩১। রসুল (সা.)-এর কারণে আমাদের সর্বোত্তম উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ সব নবীর ওপর আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন এবং সব উম্মতের ওপর আমার উম্মতকে মর্যাদা  দিয়েছেন।’ তিরমিজি। রসুল (সা.)-এর কথা শুনে সাধারণ মানুষ   অশ্রু সংবরণ করতে পারত না। অঝর ধারায় কাঁদত। তিনি মানুষকে উপদেশ দিয়ে বলতেন, ‘দয়ালু প্রভু  আল্লাহর ইবাদত কর, ক্ষুধার্তকে খাদ্য প্রদান কর, সালামের বহুল প্রচলন কর এবং এসব কাজের মাধ্যমে বেহেশতে প্রবেশ কর।’ এক ব্যক্তি ইসলামে সবচেয়ে  ভালো কাজ কোনটি প্রশ্ন করলে উত্তরে নবী (সা.) জানালেন, ‘অভুক্তকে খাওয়ানো আর চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম করা।’ বুখারি, মুসলিম। তাই আমাদের রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসতে হবে।

লেখক : মুহাদ্দিস খাদিমুল ইসলাম মাদরাসা কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর