বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মন্দিরে হামলা কি কেবলই সাম্প্রদায়িক

আলম রায়হান

মন্দিরে হামলা কি কেবলই সাম্প্রদায়িক

স্বর্ণ যুগের একটি গানের কলি, ‘তুমি কি কেবলই ছবি।’ এ রকমই প্রশ্ন উঠেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের পূজামন্ডপ ও মন্দিরে ন্যক্কারজনক হামলার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো কি কেবলই সাম্প্রদায়িক? নাকি এর পেছনে অন্যরকম কাছে-দূরের এবং বহুমাত্রিক খেলা রয়েছে? তবে নেপথ্যের খেলা যাই হোক, বাংলাদেশের মানুষ ন্যক্কারজনক এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। হামলার ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। এ হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরায়ত প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের মানুষের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও প্রবণতা বারবার প্রমাণিত। কিন্তু এটি প্রমাণিত নয় যে, মন্দিরে ন্যক্কারজনক হামলার সাম্প্রতিক ঘটনাবলি কেবলই সাম্প্রদায়িক। একই ধারণা নিকট অতীত এবং অধিকতর অতীতের হামলার ঘটনাগুলোর বেলায়ও প্রযোজ্য। কিন্তু প্রতিবারই এসব ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনাকে ‘সাম্প্রদায়িক’ লেবাস পরানো হয়েছে ও হচ্ছে। যে বিষয়টি এবার অতীতের দৃষ্টান্ত ছাড়িয়েছে। তাই এসব অঘটনের গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক সহিংসতা ঘটনার সূচনা হয় কুমিল্লায়, ১৩ অক্টোবর। সেদিন কুমিল্লার প্রায় ৭০টি পূজামন্ডপে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে অপশক্তি। পরে যা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অপব্যবহার করেছে দুষ্কৃতকারীরা। ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ও গুজব ছড়ানো হয়েছে। যা ছড়িয়ে গেছে বিশ্বে। এটি খুবই স্পষ্ট, হামলার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সম্প্রীতির ভিত্তি বিনষ্ট করা। এ জন্য মানুষের পবিত্রতম বিশ্বাসের স্থান ধর্মকে ব্যবহার করে অনেকে বিভ্রান্ত করে খেপিয়ে তোলা হয়েছে। একই ঘটনায় বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাশ হয়েছেন। হতাশ হওয়া কেউ কেউ হয়তো ভাবতে শুরু করেছেন, এ দেশ কি আমার? হয়তো কেউ ভাবছেন এ দেশ আমার নয়! যেমন গান আছে, ‘এ শহর আমার নয়।’

বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও হিন্দুদের ওপর এবারের হামলা এবং সহিংসতার ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে কুমিল্লায় একটি পূজামন্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। এ পূজামন্ডপটি কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘির পাড়ে। যে দীঘির চারপাশে অনেক হিন্দু পরিবারের বসবাস। তারা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে অস্থায়ী মন্ডপ তৈরি করে সেখানে দুর্গাপূজা করে আসছেন। পূজার আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম একজন অচিন্ত দাশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সপ্তমী শেষে রাত আড়াইটা পর্যন্ত তাদের পূজামন্ডপে লোকজন ছিল। এরপর লোকজন চলে গেলে আয়োজকরা অস্থায়ী মঞ্চের মূল পূজামন্ডপ পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখেন। সেই মঞ্চের বাইরে অল্প দূরত্বে থাকা গণেশের মূর্তিটি উন্মুক্ত ছিল। সেখানেই কেউ রেখে গিয়েছিল কোরআন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি একটি কোম্পানি থেকে ভাড়া করা একজন নিরাপত্তাকর্মী ভোররাত পর্যন্ত পাহারায় ছিলেন। কিন্তু সেখানে যখন কোরআন রাখা হয়েছে, তখন নিরাপত্তাকর্মী সেখানে ছিলেন না। সচেতন মহলের প্রশ্ন হচ্ছে, কেন ছিলেন না নিরাপত্তা কর্মীটি? এর পিছনে কি কোনো রহস্য রয়েছে? এটিও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।

কুমিল্লার পর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা দাবানলের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক দিন চুপচাপ থাকার পর কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভঙ্গের মতো অনেকেই জেগে উঠে সরব হলেন। এই সরবতার ক্রমবর্ধমান এবং পেয়েছে বহু মাত্রিক রূপ। বিভিন্ন ব্যানারে প্রতিবাদ হচ্ছে। এ প্রতিবাদ আরও হবে, হওয়াই উচিত। এটি আশার দিক। কিন্তু হতাশার দিক হচ্ছে, প্রতিবাদ সমাবেশ এবং অন্যান্য আয়োজনে অনেকেই এটিকে কেবলই সাম্প্রদায়িক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। উদ্বেগের বিষয় এখানেই। ঘটনা প্রবাহ সাধারণভাবে বিবেচনা করলেও বোঝা যাবে, এসব ঘটনা কেবল নিরেট সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। অনেকেই মনে করেন, ন্যক্কারজনক সিরিজ হামলার ঘটনার পিছনে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক খেলা থাকা বিচিত্র কিছু নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের অগ্রগতির অব্যাহত ধারা বৈদেশিক অনেক শক্তিরই চক্ষুশূল হয়ে গেছে। ফলে মন্দিরে হামলার বিষয়টি কেবলই সাম্প্রদায়িক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা তেমন যৌক্তিক নয় বলেই মনে হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয় আরও আছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে হামলার ঘটনার পরপরই দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সাবেক শাসক দল বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করে বসল। এ বিষয়ে দুই দলের নেতারাই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। ফলে ঘটনাবলি রাজনৈতিক তকমা পেয়ে গেল শুরুতেই।

সচেতন মহল মনে করেন, নানান শক্তি বাংলাদেশকে নিয়ে অব্যাহতভাবে খেলছে। একটি শক্তির লক্ষ্য হচ্ছে, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যগুলো ম্লান করে দিয়ে পাকিস্তানপন্থি রাজনৈতিক ধারা ও ‘পাকমন’ সরকার প্রতিষ্ঠা করা। যেমনটি করা হয়েছে ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে। সেই ধারা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত হতে লেগেছে ২১ বছর। এরপরও মনে রাখা প্রয়োজন, ’৭৫-এর থিঙ্ক ট্যাংক কখনো রণেভঙ্গ দেয়নি। এরাই শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যে ধর্মের মনগড়া ভুল ব্যাখ্যা দেওয়াসহ নানান অপকৌশলে বাংলাদেশকে অসহিষ্ণু ও অন্ধকারাছন্ন দেশে পরিণত করার অপচেষ্টা করছে লাগাতরভাবে। তবে এরাই কেবল বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি নয়, আরও আছে। একাধিক অপশক্তি আছে যেগুলোর সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে অবনত করে রাখা। আর নিকট লক্ষ্য, দূরদর্শী ও স্বাধীনচেতা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করা। এদিকটা আংশিকভাবে ধ্বনিত হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্যে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে ২৯ অক্টোবর বলেছেন, সরকারকে বিব্রত করতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মৃত্যু এবং ধর্ষণের নানান গল্প ছড়ানো হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় প্রচারিত প্রতিবেদন অনুসারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন অভিযোগ করেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছু অতি উৎসাহী গণমাধ্যম বানোয়াট গল্প রটাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের চারজন মুসলিম এবং দুজন হিন্দু। তিনি আরও বলেন, এসব হামলার ঘটনার সময় কোনো হিন্দু নারী ধর্ষণের শিকার হননি। এ নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর খবর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিই অধিকতর সঠিক। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের গভীরে যেতে খুব বেশি গবেষণা করার দরকার আছে বলে মনে হয় না। খুব বেশি অতীতেও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেবল সীমা সাহা থেকে বিবেচনা করলেই চলে। হিন্দু-বৌদ্য-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা রহস্যজনক একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে হিন্দুরা ‘বিপন্ন’ বলে আহাজারি করেছেন। তিনি বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করারও অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

সেই ষড়যন্ত্রকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে এবারের ঘটনার উত্তাপ জাতিসংঘ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটি সহজেই বোধগম্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক ঘটনাবলিতে রং চড়িয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে করোনাভাইরাসের মতো ছড়িয়েছে। এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে ২৭ অক্টোবর ভিয়েনায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে উচ্চারিত কথাবার্তা। ভিয়েনাস্থ জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অস্ট্রিয়ায় বসবাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র‌্যালিতে বক্তারা যেসব কথা বলেছেন যার অনেকগুলো আসলে বাস্তবে ঘটেনি। যা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের বক্তব্যে পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পররাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্য ‘আত্মরক্ষার কৈফিয়ত’ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। ফলে বিশ্ববাস্তবতায় অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে সত্যের সঙ্গে মিশাল দেওয়া ভয়ংকর মিথ্যাগুলো। যা বাংলাদেশকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাবে। আর সত্যের সঙ্গে মিশেল দিয়ে মিথ্যা কথাগুলো কেবল বিদেশের মাটিতে নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সমাবেশে কেউ কেউ এসব সেøাগান দিচ্ছেন যা খুবই আপত্তিজনক, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য চরম উদ্বেগের।

 

এই উদ্বেগের ধারায় ২ নভেম্বর আর একটি বিষয় যোগ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, ‘হিন্দুদের ভোট চাই, অথচ বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারিনি।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার সময় তাদের পাশে না দাঁড়ানোয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকে আঘাত ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতেই এই হামলা হয়েছে। এ সমাবেশে দলের অন্য নেতারা বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেবে সরকার।’

সামগ্রিক অবস্থার বিবেচনায় বাংলাদেশে হঠাৎ হঠাৎ ঘটে যাওয়া অঘটনের নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অনেক কিছুই বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, বাংলাদেশবিরোধী নানানমুখী ও মাত্রার ষড়যন্ত্র গভীরভাবে খতিয়ে দেখা। এ বিষয়ে কোনো দেশ বা শক্তিকেই বিবেচনার বাইরে রাখে যুক্তিযুক্ত নয় আন্তর্জাতিক বাস্তবতায়। একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, একাত্তরে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত রাষ্ট্র পাকিস্তান চিরকালই বাংলাদেশের শত্রু হয়ে থাকবে। কারণ, কোনো কোনো ব্যক্তি কখনো কখনো পরাজয়ের গ্লানি কিঞ্চিৎ ভুললেও কোনো রাষ্ট্রই পরাজয়ের গ্লানি কখনই ভোলে না। পরাজয়ের গ্লানি কমেও না। বরং বাড়ে। এ ধারায় একটি রাষ্ট্র অপর একটি রাষ্ট্রের চিরকালের শত্রু হতে পারে। কিন্তু একটি রাষ্ট্র অপর একটি রাষ্ট্রের চিরকালের বন্ধু হয় না। আর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বন্ধুত্ব বলতেও আসলে কিছু নেই। সবই হচ্ছে স্বার্থের হিসেব এবং লেনাদেনার ইকোয়েশন। স্বার্থের ব্যত্যয় ঘটলে প্রাচীনকালে সরাসরি আক্রমণ করে শায়েস্তা অথবা দখল করা হতো। এখন দখল করা হয় ভিন্ন কৌশলে। অথবা নানান উসিলায় গোলমাল লাগানো হয় ভিতর থেকে। মধ্যপ্রাচ্য বিভিন্ন দেশ এর মূর্তমান উদাহরণ হয়ে রয়েছে এখনো। ফলে মন্দিরে রহস্যজনক সিরিজ হামলার ঘটনা কেবল নয়, বাংলাদেশে প্রতিটি অবাঞ্ছিত ঘটনাই গভীর বিবেচনায় নিতে হবে। তা না করে কান রক্ষার বাসনায় কেবল চিলের পিছনে দৌড়ানো অথবা ক্যান্সার চিকিৎসায় মলম ব্যবহারে কোনো সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না। আর লোক দেখানো ব্যবস্থায়ও কোনো ফজিলত হবে না। বরং আখেরে সর্বনাশের ধারাকে প্রতিকারের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। মহাআশঙ্কা এখানেই।

            লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর