শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ইতিহাস

তৈমুর লং

১৩৮৭ সালে তৈমুরের মিত্র তোকতামিশ মধ্য এশিয়া আক্রমণ করে বসেন। নিজের ঘর বাঁচাতে তৈমুর নিজ অঞ্চলে ফিরে আসেন। তৈমুরের বিশাল বাহিনীর হাতে পরাজয় ঘটে তোকতামিশ খানের। তোকতামিশ খান রাশিয়ায় ফেরত যান। তৈমুর ১৩৯২ সালে পুনরায় পশ্চিমে অভিযান চালান এবং ইরাক দখল করে নেন। মঙ্গোল খানদের গৌরব ‘গোল্ডেন হোর্ড’ বা ‘ইলখানাত‘ তৈমুরের কাছে অসহায় পরাজয় বরণ করে। তৈমুর ১৩৯৫ সালে মস্কো দখল করেন। অগ্নিস্নাত মস্কোর সামনে দাঁড়িয়ে তৈমুর তৃপ্তির হাসি দেন। তবে তার ক্ষুধা তখনো মেটেনি। সেদিনই মনে মনে ছক কষতে থাকেন তৈমুর। এবার ভারতবর্ষ জয়ের পালা। ভারতবর্ষ আজীবন তৈমুরকে মনে রাখবে তাঁর নৃশংসতার জন্য। ভারতবর্ষের অধিপতি ফিরোজ শাহের মৃত্যুর পর বিভিন্ন নেতা অন্তর্দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়েন। চতুর তৈমুর এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না। ১৩৯৮ সালের শেষের দিকে প্রায় ৯০ হাজার সেনা নিয়ে সিন্ধু নদের পাড়ে হাজির হন তিনি। দূর থেকে দেখে ভয় পেয়ে যায় ভারতবাসী। তৈমুর তাঁর বাহিনী নিয়ে হাজির হয়েছেন। সিন্ধু নদ পাড়ি দিয়েই তৈমুর হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠেন। নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করতে করতে দিল্লির দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। প্রায় ১ লাখ মানুষ হত্যার পর তিনি দিল্লি গিয়ে পৌঁছান। দিল্লি দখলের আনন্দে তৈমুর বাহিনী দিল্লিজুড়ে রক্তের বন্যা বসিয়ে দেয়। তৈমুর ভারতবর্ষ শাসন করেননি। তিনি ভারতবর্ষ থেকে বহু মূল্যবান সম্পদ লুট করে সমরকন্দে নিয়ে যান।

জাফর খান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর