শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু ক্ষতিপূরণ

উন্নত দেশগুলোর দায় স্বীকার ইতিবাচক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন এবং ফ্রান্স সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুটি দেশে তাঁর সফরের পাশাপাশি সমসাময়িক নানা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। বলেছেন, জলবায়ু ক্ষতিপূরণ ত্বরান্বিত হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। সম্মেলনের প্রাপ্তি হচ্ছে বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা প্যারিস চুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়সহ জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের অরণ্য নিধন রোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি তাদের একটি প্রতিবেদনে তাঁকে কপ২৬ সম্মেলনের পাঁচ শীর্ষ ডিল মেকারের একজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। একে তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন এবং নৈতিক পররাষ্ট্রনীতির প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সন্দেহ নেই, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিশ্বনেতাদের সম্মেলনে আরও ইতিবাচক ফলই আশা করছিল বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সচেতন মানুষ। সে ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় এবং অরণ্য ধ্বংসের অবিবেচক সিদ্ধান্ত থেকে সব জাতির সরে আসার ঐকমত্যকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ অর্জনে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকাও রেখেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকালে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধির বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি সুখবর। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো সমুদ্রপাড়ের নিচু দেশগুলোর জন্য অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি করছে। বৈশ্বিক এ বিপদ সৃষ্টি হয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোয় মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের কারণে। ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়ে তারা যে দায় স্বীকার করেছে তাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর