শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মোবাইল নেটওয়ার্ক

মিয়ানমারের আচরণ অগ্রহণযোগ্য

বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করছেন মিয়ানমারের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা নামের কৃতঘ্নদের সহযোগিতা পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের নীতিমালা অনুযায়ী এক দেশের বেতার তরঙ্গের কভারেজ কোনোভাবেই অন্য দেশের সীমান্তের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের মোবাইল টাওয়ার বৃদ্ধি করছে। সে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের ১০ কিলোমিটার ভিতরেও সক্রিয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় বাংলাদেশি মোবাইল সিম ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল সিম ব্যবহার করে মাদক চোরাচালানসহ অন্যান্য অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে- কক্সবাজারে ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের প্রায় পুরো সুবিধাই ভোগ করছে। মিয়ানমারে ব্যবহৃত বেতার তরঙ্গ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের বিষয়টি আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছে। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নেটওয়ার্ক কভারেজ বন্ধ করতে মিয়ানমারকে বার্তা দেওয়া হয়। মিয়ানমারকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে- আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের নীতিমালা অনুযায়ী এক দেশের জন্য বিভাজিত বেতার তরঙ্গের কভারেজ কোনোভাবেই অন্য দেশের সীমান্তের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যেন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। এরপর ২৩ মাস অতিক্রম হতে চললেও মিয়ানমার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে ধারণা করা হয়, প্রতিবেশী দেশটির মাদক ব্যবসার সঙ্গে সে দেশের জান্তা সরকারের সম্পর্ক রয়েছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর মাদক আগ্রাসন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃতঘ্ন এ জনগোষ্ঠীকে যে-কোনোভাবে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর