শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাস ভাড়া

যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে

কভিড-১৯ মহামারী রোধের লক্ষ্যে কিছুদিন অন্য সবকিছুর মতো গণপরিবহনও বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তারপর যখন আবার তা চালু হয় তখন সরকার গণপরিবহনের মালিকদের চাপে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে দেয় গণপরিবহনের মালিকরা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করেন। সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট ডেকে গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে নিলেন পরিবহন মালিকরা। তাদের ইচ্ছানুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ হলেও তারাই আবার বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন যাত্রীদের থেকে। সেটাই তো হওয়ার কথা। সরকার যেখানে নির্বিঘ্নে জনগণকে জিম্মি করার পরোক্ষ সম্মতি দেয় সেখানে পরিবহন মালিক, চালক ও হেলপাররা আরও বেপরোয়া হবেন না কেন? সিটিং বা গেটলক সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দিয়ে তা-ও তারা মানছেন না। বাসে উঠলেই পুরো পথের ভাড়া নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে চলা বাসগুলোয় ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি কমছে না। নতুন বর্ধিত ভাড়ারও অতিরিক্ত আদায় চলছে; যদিও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অভিযান চলমান। বাসের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, আদায় হচ্ছে জরিমানা। আবার অপরাধের পুনরাবৃত্তি করায় অনেক বাসকে ডাম্পিংয়েও পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর অনেক পথেই সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও ঘটছে। বেশ কিছু সিটিং সার্ভিস বাস এখন লোকাল বাস হিসেবে চলছে। সিটিং সার্ভিস হিসেবে এসব বাস আগে যাত্রীদের থেকে যে ভাড়া নিত এখন লোকাল হলেও আগের ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে গণপরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও সিটিং সার্ভিস বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। গণপরিবহনের ভাড়া যেভাবে বাড়ানো হয়েছে তাকে আমরা কোনোভাবেই যৌক্তিক মনে করি না। জ্বালানির মূল্য যে হারে বেড়েছে বাসের ভাড়া তার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি হয়ে গেছে। যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর