রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স

দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে জোর দিতে হবে

২০২১ সালে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে। তবে প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে আসবে। এক প্রতিবেদনের পূর্বাভাস, এ বছর দেশে প্রবাসী আয় আসবে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। তাতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬ শতাংশের মতো। তাতে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের স্থান হবে সপ্তম। এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাবে ভারত ৮৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর ৫৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে চীন। একই পরিমাণ প্রবাসী আয় পাবে মেক্সিকো। বিশ্বব্যাংক ও নোম্যাডের যৌথ প্রতিবেদন ‘কভিড-১৯ পুনরুদ্ধার : আয়নায় অভিবাসন’-এ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় অভিবাসনের সম্ভাব্য অবস্থা পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়- সরকারের প্রণোদনায় ২০২১ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যদিও প্রাক-মহামারী এবং ২০২০ সালের পর্যায়ের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়েছে, তার পরও গতি কমে আসার বিষয়টি চোখে পড়ার মতো। চলতি বছর সৌদি আরব ১২ শতাংশ কম কর্ম ভিসা দিয়েছে। সেই একই সময়ে ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা প্রাপ্তি কমেছে ১৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ায় কয়েক বছর ধরেই চলছে ধরপাকড়। তার সঙ্গে আরও বড় শঙ্কার কারণ হলো, করোনার শুরুতে যে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ফিরে এসেছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক এখনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেননি। সবকিছুই মূলত নির্ভর করছে গ্রহীতা দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ওপর, যা আবার নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের প্রকোপের ওপর। শঙ্কার কথা হলো, ইউরোপে এখন করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কভিডের মধ্যে প্রবাসীরা অর্থনৈতিক মন্দায় চাকরি হারানোর কারণে সব সঞ্চিত অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। তবে নোম্যাডের এবারের প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে প্রবাসী আয়ের ধারা ভবিষ্যতে আরও কমবে বলেই শঙ্কা। প্রবাসে লোকবল পাঠানো বাড়াতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরির ওপরও জোর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর