মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে

উৎকোচভোগীদের নিরস্ত করুন

চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মালিক-মোক্তার নাগরিকদের এ মৌলিক অধিকার সুসংরক্ষণ সংবিধানে যেমন সাধারণ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তেমন প্রতিটি সরকার চিকিৎসা তথা স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকার আমলে চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে যেসব প্রয়াস চালানো হয়েছে তা দৃশ্যত প্রশংসার দাবিদার। তবে বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকায় স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ কতটা জনকল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। কারণ দেশের সরকারি হাসপাতাল থেকে মাত্র ৩ শতাংশ রোগী ওষুধ পান এবং ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। ৯৭ শতাংশ রোগীকে বেসরকারি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সেবা নিতে হয়। এতে রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয় বেড়ে যায় এবং প্রায়ই রোগী আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশে রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয় ছিল ৬৪ ভাগ। ২০৩২ সালের মধ্যে এ ব্যয় ৩২ ভাগে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন কৌশল : ২০১২-৩২ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে এ খরচ বেড়ে দাঁড়ায়

৬৭ ভাগ। অর্থাৎ চিকিৎসা খাতে মানুষের ব্যয় কমার বদলে বাড়ছে। সরকারি বরাদ্দের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে রাঘববোয়াল কর্মকর্তা এমনকি চুনোপুঁটিদের পকেটে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের যে ওষুধ দেওয়া হয় তার জন্য সিংহভাগ ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট রাখতে হয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের। উৎকোচ না দিলে বলা হয় ওষুধ নেই। হাসপাতালগুলোয় যাদের অবস্থান অনেকটাই সম্রাটের মতো। চিকিৎসা অব্যবস্থাপনার অবসান ঘটাতে হলে ওষুধের ব্র্যান্ড নামের বদলে জেনেরিক নাম ব্যবহারের বিধান চালু করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর