বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লা হত্যাকাণ্ড

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন

কুমিল্লা শহরের পাথরিয়াপাড়ায় মুখোশ পরা অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা কাউন্সিলর অফিসে ঢুকে সিটি প্যানেল মেয়র সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার একজন সহযোগীকে হত্যা করে বীরদর্পে কেটে পড়ে। কুমিল্লা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলাকে বড় আকারে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এ ঘটনা। অনেকের অনুমান- চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাশের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের একটি সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিণতিতেই এ হত্যাকাণ্ড। নিহত সোহেল কুমিল্লা মহানগরী আওয়ামী লীগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। তার বাড়ি নগরীর সুজানগরে। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে হন প্যানেল মেয়র। নিহত সহযোগী হরিপদ সাহা ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাথরিয়াপাড়া কাউন্সিলর কার্যালয়ে বসা ছিলেন সৈয়দ সোহেল। এ সময় কালো মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পিস্তলের দুটি গুলি তার মাথায়, দুটি বুকে, অন্য চারটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। সোহেল চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে যান। তার সঙ্গে অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা এসে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সোহেল ও হরিপদ মারা যান। গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী গ্রুপের একজন সদস্য সোহেলের এলাকায় ঢুকে ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে ভারতের সীমান্ত বেশ কাছে এবং সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের সেদিকে যেতে দেখা গেছে। কুমিল্লা মহানগরী আওয়ামী লীগের দাবি, সৈয়দ সোহেল ছিলেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর। তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা ও বিচার দাবি করেছেন। যে কোনো হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্য অপরাধ। আইনশৃঙ্খলার জন্যও তা প্রত্যক্ষ হুমকি। আমরা আশা করব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের সাধ্যের সবকিছু করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর