বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের উন্নয়ন

অপচয় রোধের কৌশল বের করুন

বাংলাদেশের দৃষ্টিকাড়া উন্নয়ন বিশ্ব পরিসরেও প্রশংসিত। পদ্মা মেঘনা যমুনা বুড়িগঙ্গা পাড়ের এ দেশকে তুলনা করা হয় রূপকথার ফিনিক্স পাখির সঙ্গে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদাররা বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। কিন্তু রূপকথার আঙ্গিকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়াল দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া থামাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জারি হয় সামরিক শাসনের নামে পাকিস্তানি বশংবদ সেনাপতিদের শাসন। কল্পকথার ভূতের মতো পেছনে চলার নিয়তির শিকার হয় বাংলাদেশ। গত এক যুগে দেশ অবারিত উন্নয়নের সাফল্য দেখালেও ব্যবস্থাপনার সংকট ও দুর্নীতির কারণে সাফল্যের গতি আরও বেগবান করা সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনামন্ত্রী দেশের সব শ্রেণির মানুষের কঠোর পরিশ্রমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ার কথা তুলে ধরে স্বীকার করেছেন, এ উন্নয়নের কিছু জায়গায় মিস ইউজ যে হচ্ছে না তা নয়। কেন্দ্র থেকে ১০০ টাকা বরাদ্দ হলে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছায় ১০ টাকা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সরকার এ পদ্ধতিগত সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে। সরকার দেশে বৈষম্যহীন উন্নয়নে বিশ্বাসী হলেও বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা থাকায় কিছু অনিয়ম হচ্ছে। সরকারের বরাদ্দের অর্থ ঠিকাদারের মাধ্যমে সাব-ঠিকাদারের হাতে যায়। সাব-ঠিকাদার আবার আরেক সাব-ঠিকাদারের হাতে দেয়। এভাবে নানা হাতবদলে ১০০ টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রামে ১০ টাকা পৌঁছায়। তবে সরকার এ বলয় ভেঙে ফেলতে নানাভাবে কাজ করছে। পরিকল্পনামন্ত্রী উন্নয়নের ক্ষেত্রে অপচয়ের যে বিষয়টি স্বীকার করেছেন তা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। আশার কথা মন্ত্রী বাস্তবতা স্বীকার করার ঔদার্য দেখিয়েছেন। এখন সরকারসংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব এ অপচয় বন্ধ করা। বরাদ্দকৃত অর্থের শতভাগই জনস্বার্থে ব্যয়ের কলাকৌশল নিশ্চিত করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর