শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার নামে বাণিজ্য গ্রহণযোগ্য নয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর যথেচ্ছতা সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাকে বাণিজ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে সিংহভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যে কারণে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা থাকা দরকার তার বেশির ভাগেরই অভাব রয়েছে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ‘শিক্ষা বাণিজ্যের’ প্রতিষ্ঠানগুলোয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ভিসি, প্রো-ভিসি আর ট্রেজারার ছাড়াই চলছে বিপুলসংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমনটাই দেখা গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নিয়মনীতি মেনে চলতে তাদের বড়ই অনীহা। অনুমোদনহীন শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে অনীহা, এক প্রোগ্রামের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে অন্য প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি, ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, সার্টিফিকেট বাণিজ্যসহ দেদার অভিযোগ আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে। বছরের পর বছর আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া তাদের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমানে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও এর ৩৯টিতে ভিসি, ৮২টিতে প্রো-ভিসি ও ৫১টিতে ট্রেজারার নেই। আর ২১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি পদই শূন্য। সোজা কথায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাকারী শিক্ষা ব্যবসায়ীরা কোনো নিয়মকানুন মানার প্রয়োজনই বোধ করছেন না। রাষ্ট্রপতি তথা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়াই অথবা ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে বছরের পর বছর পার করছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এর বেশির ভাগ সার্টিফিকেটসর্বস্ব শিক্ষিত বেকারই সৃষ্টি করছে। বাবা-মা বা অভিভাবকদের বিপুল অর্থের অপচয়ই শুধু ঘটাচ্ছে। এ নৈরাজ্যের অবসানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কঠোর নজরদারির কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর