বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সুন্দরবন দূষণ

সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই

সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন। বিশ্ব-ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবন দূষণের শিকার হচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। সুন্দরবন এলাকায় নৌযানডুবি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেমন দূষণ বাড়ছে তেমন ব্যাপক পর্যটকের আগমনও অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে। সুন্দরবনে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেন। পর্যটকের আনাগোনা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। এ দূষণ সুন্দরবনের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠছে। বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে শুরু করে মোংলা এমনকি সাতক্ষীরায় রয়েছে দূষণ পরিস্থিতি। কোথাও পরিবেশ দূষণ আটকানো যাচ্ছে না। পুরো সুন্দরবন এলাকায় গেলেই চোখে পড়ছে নানা ধরনের মনুষ্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র। মানববসতি থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে বা গভীর জঙ্গলে গেলেও দেখা যাচ্ছে নানা ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ। এর মধ্যে  নানা ধরনের প্লাস্টিক, বোতল, জুতা, পলিথিন, খাবার প্যাকেট, বস্তা, দড়ি, জালের টুকরা, কৌটা, ওষুধের খালি প্যাকেটসহ কাপড়ের জিনিসপত্র রয়েছে। সুন্দরবন দূষণের জন্য জেলে, মধু আহরণকারী, গোলপাতা সংগ্রহকারী, ছন সংগ্রহকারীদের অসচেতনতা অনেকাংশে দায়ী। যদিও তাদের সুন্দরবনে ঢোকার সময় অনুমতিপত্রে নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে কোনো বর্জ্য না ফেলতে সতর্ক করা হয়। এর পরও তারা সুন্দরবনে যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলেন। সুন্দরবন সুরক্ষায় দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সুন্দরবনে আসা পর্যটকদের ওপর নজরদারি থাকাও জরুরি। একইভাবে সুন্দরবনের ওপর যাদের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল তাদেরও সচেতন করে তুলতে হবে। বোঝাতে হবে সুন্দরবনের ক্ষতি মানেই তাদের জীবন-জীবিকার জন্য বিপদ ডেকে আনা। সুন্দরবনসংলগ্ন নদ-নদীগুলো নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে যাতে বর্জ্য ফেলে দূষণ করা না হয় সে বিষয়েও নজরদারি থাকা দরকার। কারণ দূরবর্তী এলাকা থেকেও ভাটির সময় বর্জ্য স্রোতের টানে এসে সুন্দরবনে জমা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর