শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরণ

এ সাফল্য দেশের সব মানুষের

স্বল্পোন্নত বা গরিব দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশ বা মধ্যবিত্তের কাতারে বাংলাদেশের যাত্রা আরও এক ধাপ এগোল। বুধবার বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় অনুমোদন পেয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে জাতিসংঘের এ অনুমোদনকে। এ সাফল্যের অংশীদার দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাংলাদেশ এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল প্রদানের সুপারিশ করা হয়। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এরই মধ্যে সিডিপির সুপারিশ অনুমোদন করেছে। আশা করা হচ্ছে পাঁচ বছর প্রস্তুতিকাল শেষে বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালে কার্যকর হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন যে পাবে এ বিষয়ে কারোরই সংশয় ছিল না। স্বাধীনতার পর দীর্ঘকাল ধরে যে দেশকে বিদ্রƒপ করা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি সে দেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের ভাগ্য গড়ার ব্যাপারে তারা কতটা আত্মপ্রত্যয়ী। দুই যুগের পাকিস্তানি শোষণ ও মুক্তিযুদ্ধকালের সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ বাংলাদেশের ভাগ্যে গরিবি হাল নিশ্চিত করেছে। একসময় যে দেশ ছিল দুনিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ তারা সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছে। গত এক যুগের উন্নয়নে করোনাকালেও বাংলাদেশ অন্য দেশকে ঋণ দেওয়ার মতো সামর্থ্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশকে যারা বিদ্রƒপ করত তারাও স্বীকার করছে পদ্মা মেঘনা যমুনা পাড়ের মানুষের সাফল্য।

সর্বশেষ খবর