শিরোনাম
রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ধীরগতির যান

মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে

দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোয় ধীরগতির যান চলাচলে আলাদা লেন ও ‘বাস বে’ তৈরির পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা যাতে দোকান বা টয়লেট বানাতে পারেন সেজন্য জমি নির্ধারণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তা প্রশস্ত ও পুরু করার অনুশাসনও দেন তিনি। ২০১৯ সালে দেওয়া এ নির্দেশনা আজও মহাসড়কগুলোয় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। দেশের অন্যতম ব্যস্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক। এতে প্রায়ই যাত্রীবাহী বাস কিংবা পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু এ মহাসড়ক নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মহাসড়কে অবাধে যাতায়াত করছে তিন চাকার ধীরগতির যানবাহন। ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা টাঙ্গাইল, ঢাকা-কুমিল্লা সব মহাসড়কের অরাজকতার চিত্র প্রায় একই। অধিকাংশ মহাসড়কে সার্ভিস রোড না থাকায় স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতে মানুষ বেছে নিচ্ছে এসব পরিবহন। অনেক জায়গায় সার্ভিস রোড থাকলেও আইনের কড়াকড়ি না থাকায় নিশ্চিন্তে মহাসড়কে চলছে এসব যানবাহন। বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪ হাজার ৪৮০টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ধীরগতির যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষে। ৩১২টি ঘটেছে ইজিবাইক, অটোচার্জার, নসিমন, করিমনের কারণে। রিকশাভ্যানের সংঘর্ষে ঘটেছে ১০১টি দুর্ঘটনা। সড়কে আইন অমান্যকারী ব্যক্তি অনধিক এক মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কাটা হবে। এ আইন যথার্থ প্রয়োগ হলে এত প্রাণহানি হতো না। সারা দেশে অবৈধভাবে চলা বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন, বিশেষ করে ইজিবাইক, ভটভটি, নসিমনকে শৃঙ্খলায় আনতে প্রায় দুই বছর আগে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেটি এখন মন্ত্রণালয়ে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হোক। মহাসড়কে বন্ধ হোক ধীরগতির যান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর