শিরোনাম
বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আমদানিকৃত পণ্য চুরি

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হোক

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে আমদানিকারকের গোডাউনে পৌঁছানোর পথে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য চুরি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পণ্য চুরির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতেও এটি যে মদদ জোগাচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। বিশেষ করে গত এক বছরে আমদানি পণ্য বন্দর থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থলে নেওয়ার পথে চুরি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অনেক সময় আমদানিকারকের প্রতি চালানে ১০ থেকে ১৫ টন পণ্য চুরি হচ্ছে বন্দর থেকে গুদাম বা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আনার পথেই। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া আমদানি করা ভোগ্যপণ্য চুরি সিন্ডিকেটে রয়েছেন পণ্য পরিবহনের চালক ও সহকারী। তাদের নেপথ্য সহযোগী হিসেবে কলকাঠি নাড়ছেন পরিবহন সমিতির কয়েক নেতা। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া পণ্য গুদাম কিংবা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আনার পথে কমপক্ষে ১৫ পয়েন্টে চুরি হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এক দশক ধরে প্রতি চালানে গড়ে ২ থেকে ৫ শতাংশ পণ্য চুরি হয় খালাসের পথে। চুরি হওয়া ভোগ্যপণ্যের মধ্যে মসলা জাতীয় পণ্য, সরিষা, মটর, ছনা, মসুর ডাল অন্যতম। সমুদ্রবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানিকৃত পণ্য নেওয়া এবং রপ্তানিকৃত পণ্য জাহাজীকরণের পথে চুরির ঘটনাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বেশ কয়েকটি আমদানিনির্ভর। পণ্য আমদানির সময় একাংশ চুরি বা ছিনতাই হলে প্রত্যক্ষভাবে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন এটি যেমন সত্যি, তেমন পরোক্ষভাবে যে সাধারণ ক্রেতাদের ঘাড়ে সে দায় চাপানো হয় তা একটি অনিবার্য বাস্তবতা। এ প্রেক্ষাপটে পণ্য চুরির সঙ্গে জড়িত লুটেরা চক্রকে আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে। তারা আন্তরিক হলে বন্দরে আসা-যাওয়া করে এমন সব পরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চোর চক্রের তৎপরতা বন্ধ হলে পণ্যের দামও অপেক্ষাকৃত কম থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর