বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিভে গেল আরেক বাতিঘর

অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে বিনম্র শ্রদ্ধা

নিভে গেল বাঙালির আরেক বাতিঘর। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জীবনের পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁর প্রিয় দেশবাসীকে ছেড়ে। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় এই বরেণ্য নজরুল গবেষক শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৭ বছর বয়সে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের মৃত্যুকে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশিষ্টজনেরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। স্বাধীনতার স্থপতির নীতি ও আদর্শের আলোকচ্ছটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোকবাণীতে কৃতজ্ঞচিত্তে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মরহুমের অভিভাবকসুলভ অবদানের কথা স্বীকার করা হয়েছে। ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও প্রখ্যাত নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালনও করেছেন তিনি। তিনি একাধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক, নজরুল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সভাপতি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন ও ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ে তিনি প্রায় ৩০টি বই লিখেছেন। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশের বুদ্ধিবৃত্তির অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই ব্যক্তিত্বের প্রতি আমাদের বিদায়ী অভিবাদন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর