শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিরিশিরিতে আমরা কজন

মাকিদ হায়দার

বিরিশিরিতে আমরা কজন

চারদিকেই অভূতপূর্ব দৃশ্য। বিশেষত ঢাকা শহরের বাইরে। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। নদী, বন সবকিছুই আছে আমার সোনার বাংলায়। জাতির জনক চেয়েছিলেন সোনার মানুষগুলোকে তিনি সুখে-শান্তিতে রাখবেন তাঁর সোনার বাংলায়। সেই তিনিই একদিন বললেন, রেডক্রসের প্রধান গাজী গোলাম মোস্তফাকে- বিদেশ থেকে জামা, কাপড় অর্থ এবং লাখ লাখ কম্বল যে আমরা রিলিফ পেলাম সেগুলো গেল কোথায়? উপরন্তু আমার কম্বলটি কোথায়? রেডক্রসের প্রধান জাতির জনকের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তখনই জনক রাগে-দুঃখে এবং অভিমানে জানালেন, ‘আমি কাকে ধরব, কাকে মারব, যেদিকে তাকাই চোর ছাড়া কাউকে দেখি না’। এর কিছুদিন পর সিরাজগঞ্জের এক জনসভায় তিনি ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে বলেছিলেন, যমুনা নদীর ওপর সেতু করতে হবে জাপানের অর্থায়নে। সম্ভবত সেটি ১৯৭৩ অথবা হতে পারে ১৯৭৪ সাল। পাবনার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রব বগা মিয়া নিজেই জিপ চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন সেই সালে। টুকরো টুকরো স্মৃতি আজ মনে পড়ল নেত্রকোনার বিরিশিরির সোমেশ্বরীর শুকনো নদীর চরে দাঁড়িয়ে। নদী শুকিয়ে একেবারে শীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণ ভারত থেকে কোনো পানি বাংলাদেশকে না দেওয়া। সোমেশ্বরী নদীর ওপারে বাংলাদেশের সীমানা থাকলেও খুব বেশি নয় বলেই আমার মনে হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর পরে গিয়েছিলাম বিরিশিরিতে। প্রথমবার গিয়েছিলাম যখন কবি রফিক আজাদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক। আমি তখন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থার উপমহাব্যবস্থাপক। ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ- এ পাঁচ জেলার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের সম্প্রসারণ, ঋণ বিতরণ, ঋণ আদায় এবং ঘানিশিল্পের ওপর অর্থ বিতরণের দায়িত্বে। পাঁচ জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছিল প্রধান লক্ষ্য। যার ফলে পাঁচ জেলায় প্রায়ই যেতে হতো। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ছিলাম ময়মনসিংহের বিসিকের প্রধান কার্যালয় মাসকান্দায়। দীর্ঘ ২০ বছর পর গেলাম বিরিশিরিতে। এবার গেলাম ১৫-২০ জন। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ রাত দেড়টায় যাত্রা হলো বিশিষ্ট ছড়াকার আসলাম সানীর নেতৃত্বে। ভোরে গিয়ে উপস্থিত হলাম বিরিশিরির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির রেস্ট হাউসে। সফরসঙ্গী জনাকয়েক মহিলা ছিলেন। প্রাণঢালা সংবর্ধনা দিলেন কালচারাল একাডেমির পরিচালক, কবি, গীতিকার সুজন কুমার হাজং। যিনি সুজন হাজং নামেই সমধিক পরিচিত। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন। বেশ কয়েক একর জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি ভবন। বিশাল একটি অডিটোরিয়াম। নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্মৃতিসংবলিত বিশাল একটি জাদুঘর। তীর-ধনুক, বন্য শূকর, মহিষের মাথা, ঢাল, তলোয়ার সূচিকর্মসহ অজস্র শিল্পকর্ম ঠাঁই পেয়েছে জাদুঘরে। একই সঙ্গে অনেক ছবি ঠাঁই পেয়েছে নৃ-গোষ্ঠীর ৩৫ মুক্তিযোদ্ধাসহ। এ ছাড়া যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে নিহত হন তাদের ১৩ জনের নাম এবং ছবি, এবং অন্য ৩৫ জনের ছবি টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। একাডেমির পরিচালক সুজন কুমার হাজং আমাকে জানালেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা দুর্গাপুর, বিরিশিরি উৎরাইল এবং সাদামাটির পাহাড়ে লুকিয়ে থেকে দখলদার পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিহত করেছিলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মোৎসব। একাডেমির বড় অডিটোরিয়ামে প্রচুর দর্শক-স্রোতার উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেই শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করলেন। সম্পূর্ণ নীরবতায় পূর্ণ রইল অডিটোরিয়াম। ঘণ্টা দুয়েক আলোচনার পর ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালে যোগ দিলেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। কথা বললেন বেশ অনেকক্ষণ। বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে কথা বললেন। বিশেষত রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই ভার্চুয়ালি যোগ দিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ুসহ বিগত কয়েক বছরের এ সবুজ শ্যামল বাংলার উন্নয়নের কথা জানালেন এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব। অনুষ্ঠানে স্থানীয় (নৃ-গোষ্ঠীর) কলেজের অধ্যাপক সার্বলাল বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলেন।

বক্তৃতামালা শেষ হওয়ার পর শুরু হলো গান। গানটির রচয়িতা ও গীতিকার সুজন হাজং। গান শেষে ঢাকা থেকে আগত একদল নৃত্যশিল্পী নৃত্য পরিবেশন শেষে স্থানীয় কবিদের শেখ হাসিনাকে নিয়ে উৎসর্গিত কবিতা পাঠ। এবং নেত্রীর ছবি আঁকা, গল্প লেখা নিয়ে স্কুলের ছেলেমেয়েরা, বিশেষত যাদের বয়স ১০-১২ বছরের মধ্যে তাদের ভিতরে প্রথম-তৃতীয় ছাড়াও সান্ত্বনা পুরস্কার বই দেওয়া হলো। বাচ্চারা ভীষণ খুশি যখন বাচ্চাদের প্রাইজ দেওয়া হচ্ছিল। লক্ষ্য করলাম পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন উভয় সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে খুবই প্রাণবন্ত মনে হলো আমাদের কাছে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যাহ্নটি। বিকালের অধিবেশনে আমরা ঢাকা থেকে এমনকি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ কলেজের অধ্যাপক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমানকে আমি নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তোকে আসতে হবে ঢাকায়। গাজী আজিজ আমার পড়ালেখা জীবনের বন্ধু ৫৫ বছর যাবৎ। ছড়াকার রহিম শাহ জাতির জনকের কন্যাকে নিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দিত ছড়ার বই লিখেছেন। বইটির নাম ‘বীর কন্যার ছড়া’। বইটির ভিতরে শেখ হাসিনা ছাড়াও আছে জাতির জনকের ছবি, আরও আছে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদের খুবই সুন্দর প্রচ্ছদ। ছবি এঁকেছেন শিল্পী রজত। ঢাকা থেকে সফরসঙ্গীর মধ্যে ছিলেন তিনজন বাচিকশিল্পী- নুরুজ্জামান, শান আলম ও নায়মা রুম্মান। কথা বললেন প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান। শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা বক্তব্যে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন বিরিশিরির কালচারাল একাডেমির নৃত্যশিক্ষক মালা মার্থা রাংমা। তিনি উচ্চশিক্ষিত, প্রমোদ মানকিনের কন্যা। তিনি জানালেন তার অভিব্যক্তি শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনের। আমি জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলাম এবং জানালাম ১৯৬৭ সালের একটি স্মৃতির কথা। শেখ হাসিনা ১৯৬৭ সালে ঢাকার ইডেন গার্লস কলেজ থেকে ছাত্রলীগের সভানেত্রী হয়েছিলেন। সে খবর যখন জগন্নাথ কলেজ এলো তখন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ভাই। ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাজু ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা হোম ইকোনমিক্স কলেজের গেট পেরিয়ে ইডেন গার্লস কলেজ পর্যন্ত যেতেই মুহুর্মুহু ‘শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী’ ধ্বনি দেওয়ার কিছুটা পরই তিনি কলেজ থেকে বেরিয়ে এসে আমরা যারা ছাত্রলীগের ছেলেমেয়ে ছিলাম আমাদের শুভেচ্ছা জানালেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন রাজু ভাইয়ের সঙ্গে। তখন শেখ হাসিনার পিতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ ছয় দফা দেওয়ার অপরাধে। অনুষ্ঠানটি শেষ হলো রাত ১০টার দিকে। সেদিনের রাতটা আমাদের খুবই আনন্দে কাটল। পরিচালক সুজন হাজং বারবার এসে জানতে চাইলেন আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না? একবাক্যে জানালাম, না। সুজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন। এবং তিনি তাঁর শিল্প-সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যেমন মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার।

আসলাম সানী সুজনের কাছে জানতে চাইলেন বিরিশিরিতে দেখার মতো তেমন কিছু আছে কি না। পরিচালক জানালেন, আগামীকাল কলেজে আমাদের জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি রয়েছে উৎরাইলের ডন বস্কো কলেজের মাঠে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। বিরিশিরি বাজার থেকে মাইল দু-তিনেক দক্ষিণে একটি প্রত্যন্ত ছায়াঘেরা, চারদিকে গাছপালা, বাঁশের বাগান, আম-জাম বাগান পেরিয়ে আমরা টেম্পোয় চেপে এলাম উৎরাইল গ্রামে। অপূর্ব স্থাপত্য শিল্প ডন বস্কো কলেজটি চার তলা ভবন। তবে কলেজটি যেখানে নির্মিত হয়েছে সে জায়গাটির নাম তেল্নুজিয়া, বিরিশিরি, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা। কলেজটির রেক্টর ফাদার পাওয়েল কোচিওলেফের দেশ পোল্যান্ড। ডন বস্কো রেক্টরের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে গিয়ে লজ্জা পেলাম। এত ভালো বাংলা বলেন এবং তাঁর উচ্চারণ পরিশুদ্ধ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মি. রুমন রাংমা। কলেজটির পেছনে ফুটবল খেলার মাঠ। কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রচন্ড রোদে আমরা সবাই অনেক বৃক্ষরোপণ শেষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চা-পানে আপ্যায়িত করলেন আমাকে ও গাজী আজিজকে। ডন বস্কোর কিছু অমর বাণী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে। সেগুলো থেকে কয়েকটি উল্লেখ করলাম। ১. দৌড়াও, লাফাও কিন্তু কোনোমতেই পাপ করবে না। ২. আজকে এমনভাবে কাজ কর যেন আগামীকালকে তোমাকে লজ্জা পেতে না হয়। ৩. আজকে যে ভালো কাজ করতে পার তা আগামীকাল পর্যন্ত রেখে দিও না। তোমার জন্য আগামীকাল না-ও আসতে পারে। ৪. এসো আমরা ইহলোক এবং পরলোকে ভালো থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি। ডন বস্কো পৃথিবীর ১৩৫ দেশে বর্তমান আমেরিকা, ভারত, স্পেন, হংকং, কোরিয়া, ফিলিপাইনসহ বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬ লাখ ২০ হাজার হাজারের অধিক। ডন বস্কোর স্লোগান হচ্ছে- শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও স্বপ্নের পথে। কেরালার শিক্ষকসহ অন্যান্য দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শিক্ষক এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত খ্রিস্টান শিক্ষকরাও আছেন। ভালো লাগল, ছিলাম ঘণ্টাখানেক। কলেজ থেকে বেরিয়ে সবাই গেলাম সোমেশ্বরী নদী পেরিয়ে উত্তরে আর পুবে ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের শেষ সীমা বিজয়পুরে। অনেকক্ষণ থেকে ফেরার পথে চোখে পড়ল বিশাল একটি শহীদ মিনার। টঙ্ক কৃষক আন্দোলনের পথিকৃৎ নেত্রী হাজং মাতা শহীদ রাশি মণির স্মৃতিসৌধ। শহীদ হয়েছিলেন ১. রাশি মণি হাজং ২. সহযোগী সুরেজ হাজং। ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৬। স্থান বহেড়াতলী, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা। হাজং মাতা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারপারসন ১. খুশী কবির ২. স্থপতি রবিউল হুসাইন। ৩. জমিদাতা প্রয়াত শাহাবুদ্দিন তোতা ৪. প্রকৌশলী মো. শহীদুল্লাহ। অন্য ট্রাস্টিবৃন্দ- কামাল লোহানী, সততলাল হাজং, প্রয়াত কমরেড অজয় রায়, কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ, শরদিন্দু সরকার। এই সুন্দর শহীদ মিনারটির স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন। এই ফাঁকে বলে রাখি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর আর ওই একই দিনে আমার জন্ম হয়েছিল পাবনার দোহারপাড়া গ্রামে। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। পিতার হাতে লেখা কুষ্টিতে শুধু দিনটির উল্লেখ নেই। যা হোক, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে সোমেশ্বরী পেরিয়ে যেতে হবে বিজয়পুরে। আমার মনে হয় পর্যটন করপোরেশন বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। সেখানে মোটেলসহ পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা যায় কি না।   

লেখক : কবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর