শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

এগিয়ে বাংলাদেশ

উন্নয়নে ভারত-পাকিস্তান পিছিয়ে

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছে। একটি পতাকা ও স্বাধীন দেশের মানচিত্রের জন্য সম্ভ্রম দিতে হয়েছে আড়াই থেকে তিন লাখ নারীকে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন স্বাধীন স্বদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। তারা স্বপ্ন দেখতেন সুখী সমৃদ্ধশালী এমন একটি দেশ প্রতিষ্ঠার- যাকে তারা অভিহিত করেছিলেন ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বভাবতই মূল্যায়নের সময় এসেছে- সে স্বপ্ন পূরণে আমরা কতটুকু সফল হয়েছি। সন্দেহ নেই আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণে এ জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখ পানে আরও জোর কদমে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর স্মরণীয় ক্ষণে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির পার্থক্য থাকলেও সান্ত্বনা এতটুকু ইতিমধ্যে মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে বাড়ত অথচ ২০১০ সালের হিসাবে এটা ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ হারে বাড়ছে। ১৯৯০ সালে ভারতের মাথাপিছু আয় ৩ দশমিক ২৬ হারে বাড়ত এখন কমে ১ দশমিক ১৪ হার হয়েছে। একইভাবে ’৯০-এর দশকে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ এটা এখন আরও কমে শূন্য দশমিক ৮৬ হয়েছে। অথচ মাথাপিছু আয়ে ’৯০-এর দশকে পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এখন পাকিস্তানের চেয়ে মাথাপিছু আয়ে ১০ শতাংশ এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ছাড়া উৎপাদন খাতে ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার পলিবাহিত জনপদ বাংলাদেশ। ’৯০-এর দশকে উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ছিল ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ যা এখন ১৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্ধ শতাব্দী আগে বাংলাদেশকে বিদ্রƒপ করে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। এখন বলা হয় অমিত সম্ভাবনার দেশ। তবে এ সাফল্যে আত্মপ্রসাদের সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়  আরও অনেক অনেক দূর এগোতে হবে। সুশাসন  প্রতিষ্ঠায়ও ব্রতী হতে হবে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর