শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্স আয়

বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে হবে

অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা বলে বিবেচিত হয়। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসী প্রেরণে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ এবং রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে অষ্টম। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রতিবেদনে যে সত্যটি বেরিয়ে এসেছে তা হলো প্রবাসী কর্মজীবীর তুলনায় বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় কম। যে কারণে অভিবাসী প্রেরণে ষষ্ঠ হলেও রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়ে। জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বসবাস করা বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৭ দশমিক ৪০ মিলিয়ন। বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করেও প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ২০১৯ সালে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি দেশে পাঠিয়েছেন, যার ৭৩ শতাংশ প্রবাসী শ্রমিকদের থেকে এসেছে। তারা উপসাগরীয় দেশগুলোয় প্রধানত ‘নিম্ন-দক্ষ’ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক আয়ের উৎস। রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর কভিড-১৯ মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও ২০২০ সালে ২১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে। অভিবাসন বাংলাদেশের উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অভিবাসীরা উন্নত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য অভিবাসন করেন এবং তারপর নিজ দেশে জীবনযাত্রার মান বাড়াতে সহায়তা করেন। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় তুলনামূলক কম হওয়ায় অভিবাসীর সিংহভাগই অদক্ষ। ফলে অন্য দেশের কর্মীদের তুলনায় তারা কম আয় করেন। দক্ষ কর্মজীবীদের পাঠানো গেলে রেমিট্যান্স অন্তত ১০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব হবে। প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর