সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিশ্ব শান্তি সম্মেলন

সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হোক জগদ্বাসী

শান্তি বিশ্ববাসীর ঐকান্তিক কামনা হলেও বিভেদের বিষবাষ্প পৃথিবীকে গ্রাস করে রেখেছে মানব সভ্যতার বিকাশের পর থেকেই। দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে হানাহানি মনস্কতার কারণে। স্নায়ুযুদ্ধ পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিণতিতে বিস্ফোরণোন্মুখ বারুদের ওপর দাঁড়িয়ে এখন আমাদের পৃথিবী। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার সংগ্রাম ও আরব-ইসরায়েল বিরোধ বিশ্বশান্তির জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে চীন রাশিয়া ইরান জোটের সংঘাতও মানব সভ্যতার জন্য এক প্রত্যক্ষ হুমকি। মানব সভ্যতার এমন এক ক্রান্তিকালে শনিবার বৈশ্বিক ঐক্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির ডাক দিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে বিশ্বশান্তি সম্মেলন। ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ব এখন অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মুখোমুখি। কভিড-১৯ মহামারী বিশ্ব ব্যবস্থার দুর্বলতা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত না করি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারব না। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান। আমরা সবাই জানি, শান্তি হলো সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব এবং সংঘর্ষের অনুপস্থিতির একটি সর্বজনীন ধারণা। শান্তি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা বা ভয় থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দেয়। বিভেদের পথ ত্যাগ করে, হাতে হাত মিলিয়ে শান্তির পথে একসঙ্গে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বিশ্বশান্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির আহ্বান খুবই প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার লাভ ছিল শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ফলশ্রুতি। আমরা আশা করব ঢাকার বিশ্ব শান্তি সম্মেলন জগদ্বাসীকে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর