মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেগম খালেদাকে বিদেশে পাঠিয়ে শ্রেষ্ঠ মানবী হোন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

বেগম খালেদাকে বিদেশে পাঠিয়ে শ্রেষ্ঠ মানবী হোন

মনে হয় প্রায় এক যুগ পর টাঙ্গাইল শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যানে দিনব্যাপী ছাত্রলীগের সম্মেলন হলো। সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের সম্মেলন এমনই হয়। ভালো লোকসমাগম হয়েছিল। শুধু ভালো বললে কম বলা হয়, অসাধারণ সমাগম। সব ছাত্র ছিল তা-ও যেমন বলা যাবে না, তেমনি দেখবার মতো সারা জেলার প্রতিনিধিত্ব যে ছিল তা-ও অস্বীকার করা যায় না। ছাত্রলীগের সম্মেলনের বিষয়ে আমার জানা ছিল না। একটা সম্মানজনক সমাগমের পরও বলতেই হবে অনেকের মধ্যে নিষ্ঠা ছিল না। আমার বাড়ির এক-দেড় শ হাতের মধ্যে শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যান জেলা সদর রোডের ওপর সারা দিনই ছিল সম্মেলনের লোকজনের হাঁটাচলা। অনেকে ছিল একটিবারও কারও কথা শোনার জন্য উদ্যানের ভিতরে যায়নি। আমরাও সম্মেলন করেছি। আমরা ছিলাম নেতারা কী বলেন, আমাদের কী করতে হবে তা শোনা ও বোঝার জন্য উদ্গ্রীব। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন সভাপতি, শেখ ফজলুল হক মণি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। টাঙ্গাইলের সেই সম্মেলনে শওকত তালুকদার সভাপতি, লতিফ সিদ্দিকী হয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক। সে এক অনুকরণীয় অনুসরণ করার মতো সম্মেলন। শেখ ফজলুল হক মণির দুবার এম এ ডিগ্রি বাতিল করে দিয়েছিল তৎকালীন আইয়ুব সরকার। তার জন্য শেখ ফজলুল হক মণির প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেশি। প্রচন্ড গরমে হলের ভিতর টেকা যাচ্ছিল না। আস্তে আস্তে মফস্বল থেকে আসা ছাত্ররা বেরিয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করছিল। শেখ ফজলুল হক মণি ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বক্তৃতার সময় ছোটাছুটি করে সবাই এসে হল ভরে ফেলেছিল, হলের সামনে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে ছিল সম্মেলন। এখনকার সম্মেলনে তেমন আন্তরিকতা নেই, আগ্রহ নেই, সম্মেলন করতে হয় তাই করে। ছাত্রলীগের এই সম্মেলনে টাঙ্গাইলের মাননীয় সংসদ সদস্যরা দু-এক জন বাদে প্রায় সবাই ছিলেন। মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, জোহায়েরুল ইসলাম এমপি, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, মমতা হেনা লাভলী এমপি, ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ছিলেন। অনেক বক্তৃতা হয়েছে, অনেক কাজের কথা হয়েছে, কমবেশি অকাজের কথাও হয়েছে। কেউ বক্তৃতায় মনের ভুলেও মওলানা ভাসানীর নাম নেননি। জননেতা আবদুল মান্নান, শামসুর রহমান খান শাহজাহান, বদিউজ্জামান খান, শাজাহান সিরাজ, লতিফ সিদ্দিকী, ফজলুল করিম মিঠু এঁদের কারোরই নাম আসেনি। ফজলুর রহমান খান ফারুক এখন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত ছিলেন তাই কমবেশি আলোচনায় এসেছেন। তবে সব মিলিয়ে ভালো সম্মেলন হয়েছে। রাতেই কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আরও অন্যদের নাম ঘোষণা করলে আরও ভালো হতো। তা করেনি সেজন্য আসমান ভেঙে পড়বে না। টাঙ্গাইল ছাত্রলীগের এক-দেড় দশক পর তবু সম্মেলন হওয়ায় আমার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই।

প্রায় দুই বছর পর গণফোরামের ষষ্ঠ সম্মেলনে গিয়েছিলাম। একে তো করোনার কারণে প্রায় দুই বছর গৃহবন্দী। মাসে দু-এক বার ঢাকা-টাঙ্গাইল যাতায়াত করি, বাকি সময় ঘরেই বসা। রেডিও-টিভিতে যাই না। কোনো সভা-সমাবেশ-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম কোথাও যাই না। মাহমুদুল্লাহ মধু কয়েকদিন আগে গণফোরামের দাওয়াত নিয়ে এসেছিল। আহ্বানকারী হিসেবে তিনজনের নাম ছিল তাতে- অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। পরের দিন মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী দুজনই ফোন করেছিলেন। আবার ২ ডিসেম্বর মোস্তফা মহসীন মন্টুর ফোন পাই। জিজ্ঞেস করলাম, স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে? বললেন, এইমাত্র স্যারের বাসা থেকে এলাম। সম্মেলনে গিয়ে দেখলাম ড. কামাল হোসেন নেই। কিন্তু তাঁর একটি অসাধারণ বাণী আছে। সম্মেলনে লোকসমাগম হয়েছিল সম্মানজনক। আমি অনেকবারই অনেকের মিটিংয়ে দেখেছি বস্তি থেকে লোক আনতে। এমনকি বস্তির মা-বোনেরা বাচ্চা কোলে অথবা দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে গণফোরামের সম্মেলনে আসতে দেখেছি। কিন্তু এবার ওসবের কোনো বালাই ছিল না। বাইরের লোকজন তেমন একটা ছিল না। মোটামুটি সব জেলা থেকেই প্রকৃত কর্মীরাই এসেছিলেন। যা খুব ভালো লেগেছে।

গণফোরামের সম্মেলনে যাওয়ার আগেই শুনেছিলাম আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের অনেককেই আমন্ত্রণ করেছিলেন। কেউ কেউ বলছিলেন আওয়ামী লীগ থেকেও দাওয়াতিরা আসবেন। শুনে খুশিই হয়েছিলাম। আমার চোখে সম্মেলনটা প্রিয়জনের জন্মদিন অথবা কাপড় পরতে পরতে যখন নোংরা হয়ে যায় সেই নোংরা কাপড় সাবান-সোডা দিয়ে ঘষে মেজে আবার পরবার মতো করে তুলি ঠিক একটি রাজনৈতিক দলের সম্মেলনও তেমনি। একটি প্রকৃত সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল সব দুর্বলতা-অস্পষ্টতা কাটিয়ে নববলে বলীয়ান হয়। আবার নতুন করে যাত্রা করা হয়। এক কথায় বলা চলে মোস্তফা মহসীন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং সুব্রত চৌধুরী আহূত সম্মেলন যথার্থ সফল হয়েছে। অনেক অতিথি গিয়েছিলেন তাঁর মধ্যে পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব। আমার জানা মতে একটি দেশে একটি সরকার বহাল থাকতেও নতুন দেশের পতাকা তোলার ঘটনা খুব বেশি নেই। একটি ভারতে, আরেকটি পূর্ব পাকিস্তানে। জাপানিরা আন্দামান নিকোবর দখল করে নিলে সেখানে আজাদ হিন্দের পক্ষ থেকে নেতাজি সুভাষ বোস মহান ভারতের পতাকা তুলেছিলেন। আর পূর্ব পাকিস্তানে ট্যাংকের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিপি আ স ম আবদুর রব পাকিস্তান সরকার বহাল থাকতেও বাংলাদেশের পতাকা তুলেছিলেন। এ ক্ষেত্রে নেতাজি সুভাষ বোসের আন্দামানে ভারতের পতাকা তোলার চাইতেও আ স ম আবদুর রবের বাংলাদেশের পতাকা তোলা অনেক গৌরবের। কারণ নেতাজি পতাকা তুলেছিলেন জাপান আন্দামান দখল করে নিলে। সেই সময় জাপানের সঙ্গে আজাদ হিন্দ সরকারের একটা চমৎকার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আ স ম আবদুর রব কিংবা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে সেদিন পতাকা তোলা হয়েছিল।

গণফোরামের সম্মেলনে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি থেকে গিয়েছিলেন মনিরুল হক চৌধুরী ও আবদুস সালাম। মনিরুল হক চৌধুরী ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন, আবদুস সালামও ছাত্রলীগ করতেন। আমি বুঝতে পারি না ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের লোকেরা কীভাবে বিএনপিতে যান। সালামকে আমি খুব পছন্দ করি। তার আচার-ব্যবহার, দলের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করে। মনিরুল হক চৌধুরী তো প্রাণের মানুষ, এক অর্থে তিনি আমার নেতাও। কারণ ১৯৬৮ সালে আমি যখন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মনিরুল হক চৌধুরী সেই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জননেতা আবদুল মান্নান, শেখ ফজলুর হক মণি আরও অনেকের টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে যাওয়ার কথা ছিল। নেতারা টঙ্গী, কেউ কেউ জয়দেবপুর পর্যন্ত এসেও শাজাহান সিরাজের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ঢাকা ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু মনিরুল হক চৌধুরী ঠিকই হাজির হয়েছিলেন। মনিরুল হক চৌধুরী কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক, আমি জেলার সাধারণ সম্পাদক- কত দূরত্ব, আকাশ-পাতাল। মুক্তিযুদ্ধে আল্লাহ আমায় দয়া করেছিলেন, জীবন বাজি রেখেছিলাম তাই অনেক সময় আমার নাম আগে আসে। যাঁরা আমার নেতা তাঁরা বর্তমান রাজনীতির দৌড়ে পিছে পড়ে গেলেও তাঁদের আমি নেতার মতোই সম্মান করি। তা মনিরুল হক চৌধুরীকেও করি। ’৭৫-এ মনিরুল হক চৌধুরী আমার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধযুদ্ধে শামিল হতেন। ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে তাঁকে যেখানে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি অন্যখানে অপেক্ষা করছিলেন। সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে আমরা হারিয়ে গিয়েছিলাম প্রায় ১৬ বছরের জন্য।

ইদানীং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিদিনই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আলোচনা বাড়ছে। মানুষের মধ্যে কিছুটা সহানুভূতিও বাড়ছে। বিএনপি যা বলছে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এটা করবে ওটা করবে এসব কোনো কাজের কথা নয়। করতে পারলে অনেক আগেই করত। কারও প্রতি দয়া বা অনুকম্পা দেখাত না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা কিছু করার খুব একটা ক্ষমতা বিএনপির আছে তা হলফ করে বলা যায় না। কিন্তু খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ আছে। কদিন যাবৎ মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কথাবার্তা ভালো হচ্ছে না। আইনমন্ত্রীর মতো একটা কথাও তিনি বলছেন না অথবা বলতে পারছেন না। আইনমন্ত্রীর বাবা সিরাজুল হক যে ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন ছিলেন, আমার কাছে আইনমন্ত্রীকে তাঁর মতো মনে হয় না। অনেকেই জানেন না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গভবনে খন্দকার মোশতাক সংসদ সদস্যদের সভা ডেকেছিলেন। সে সভায় একজনও খন্দকার মোশতাককে সমর্থন করেননি। সবাই নিন্দা জানিয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু রেডিও-টেলিভিশনের খবরে, পত্রপত্রিকায় প্রেসনোট দেওয়া হয়েছিল সব এমপি খন্দকার মোশতাককে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন। খন্দকার মোশতাকের সমর্থন-অসমর্থনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল এমপিদের নিয়ে একটি মিটিংয়ের। সেটা কৌশলে খন্দকার মোশতাক করতে পেরেছিলেন। সেখানেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা খন্দকার মোশতাককে মুখে মুখে বলেছিলেন, ‘তোমাকে আমরা রাষ্ট্রপতি হিসেবে মানি না। তুমি বঙ্গবন্ধুর খুনি।’ এ রকম একজন সাহসী সংগ্রামী মানুষের ছেলে হয়ে তিনি বাবার মতো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। তিনি আইনের ফাঁকফোকর খুঁজছেন। এমন কথা কোন মন্ত্রী বলে? এটা চায়ের দোকানের কথা, ছোটখাটো উকিলদের কথা। মন্ত্রী কেন ফাঁকফোকর খুঁজবেন? মন্ত্রী আইন দেখবেন। আইনে সুযোগ না থাকলে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন। নতুন করে আইন বানিয়ে নেবেন। ভালো মানুষ ফাঁকফোকর খুঁজতে যাবেন কেন? মাননীয় মন্ত্রীর কাছে বিনীতভাবে বলব, বাঙালকে হাই কোর্ট দেখাবেন না। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দেখাশোনা করার জন্য জেলখানায় ফাতেমা নামে একজন সহকারী দিয়েছিলেন কোন আইনে? পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতা। কোনো নিরপরাধ মানুষকে জেলখানায় এক মুহূর্ত রাখা যায় না, কোনো নিয়ম নেই, কোনো আইন নেই। তা-ও যত দিন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন ফাতেমা খালেদা জিয়ার সঙ্গেই ছিলেন, হাসপাতালে আনা হলে সেখানেও তিনি ছিলেন। তাহলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে কেন পাঠানো যাবে না? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছা করলে বেগম খালেদা জিয়াকে যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। আমার দৃঢ়বিশ্বাস খালেদা জিয়াকে তিনি অবশ্যই বিদেশে পাঠাবেন। যে যা-ই বলুক, যে যত সমালোচনাই করুক খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য জীবনের শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণের পরিচয় এবং এটা গিনেস বুকে স্থান পাবে। পৃথিবীর ইতিহাসে শাসকের মাহাত্ম্য শাসকের মানবতা হিসেবে প্রথম পাতায় প্রথম লাইনেই ঠাঁই পাবে। যে যা-ই বলুন, খালেদা জিয়াকে যে মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হবে সে মুহূর্তেই বিএনপির সংগ্রাম আন্দোলন লম্ফঝম্প সব শেষ হয়ে যাবে। কারণ বিএনপির জনসম্পৃক্ততা নেই। সম্পৃক্ততা অর্জন করতে হলে বিএনপিকে অনেক কিছু করতে হবে। হাওয়া ভবনের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে গালাগাল বন্ধ করতে হবে, আরও অনেক কিছু বদলাতে হবে, জামায়াতকে ছাড়তে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানবতা দেখিয়ে অতিসত্বর বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দিন। জানি, এমন কাজের জন্য বুকের পাটা দরকার, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে বুকের সে পাটা আপনার আছে।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

সর্বশেষ খবর