শিরোনাম
বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা

ভারতের ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসের (২৬ জানুয়ারি ২০২২) সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এই প্রথম এমন সরকারি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলো। এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশের মানুষের নয়, ভারত এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সব বাঙালির গর্বের কারণ। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ভাই দামোদরদাস মোদি। এজন্য তাঁকেও ধন্যবাদ জানাই। শেখ হাসিনা এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবে ২৫ জানুয়ারি এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লিতে আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা একজন মহিলা সরকারপ্রধান এবং বাঙালি। এজন্য তিনি আমাদের সব বাঙালির অহংকার। একসময় মহিলা সরকারপ্রধান হিসেবে সারা বিশ্ব চিনত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে, চিনত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট গোল্ডা মেয়ারকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সিরিমাভো বন্দরনায়েককে। শেখ হাসিনা তাঁদের পাশে শুধু উজ্জ্বলই নন, নিজের দেশকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি বিশিষ্ট স্থানে বসাচ্ছেন। দেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে পরম আদরের এবং ভালোবাসার মানুষ। তাঁর প্রথম কারণ যদি হয় যে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, তবে দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই তিনি নিজে। তাঁর দক্ষ হাতে দেশ পরিচালনা তাঁকে এ আসনে বসিয়েছে। অর্থনীতিতে তিনি দেশকে বহু যোজন এগিয়ে দিয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আজ এতই অগ্রবর্তী যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তারা চমক সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রায় ২০ লাখ মানুষ আজ বাংলাদেশে কর্মরত। আর্থিকভাবে সবল না হলে এটা কখনই সম্ভব হতো না। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তিনি নজির স্থাপন করে চলেছেন অবিরত। বেশ কয়েকটি প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-মিয়ানমারের কাছে ধুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল-গেজ রেলপথ নির্মাণ ও কর্ণফুলী নদীর টানেল প্রকল্প। এসব প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বছরের ডিসেম্বরেই চালু হয়ে যাওয়ার কথা। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রও এ ডিসেম্বরেই উৎপাদন শুরু করতে পারে। বাকি প্রকল্পগুলোও কোনোটি ২০২২, কোনোটি ২০২৩-এর মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও শেখ হাসিনা উল্লেখযোগ্য কাজ করছেন। সারা দেশে ২০০ মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় টাকা পৌঁছে গেছে। নির্মাণকাজও শুরু হয়ে গেছে। কভিড-১৯ মোকাবিলায়ও শেখ হাসিনা সরকার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন এই মহামারীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে তখন বাংলাদেশ সরকার এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনীতির গতিপথকেও ঠিক রাখতে অসাধারণ কাজ করেছে। ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে সরকারি সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেছে সব মহল। এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বড় একটি প্যাকেজ। এর পাশাপাশি বিশ্বের এত বড় বিপর্যয়ের সময় সরকার লাখ লাখ দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিয়েছে। সরকার সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর কর্মসূচির আওতা বাড়িয়েছে এবং  খোলাবাজারের মাধ্যমে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করেছে। কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার পর এ কাজের গতি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া মহামারী চলাকালে সমাজের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারের আরেকটি সাফল্য ছিল ক্যাসিনোসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া। ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকেও জেলে যেতে হয়েছে। এমনকি কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশবাসী এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। আশা করা যায় সামনের দিনগুলোয় অন্যান্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ভারতের কৃষক এক বছর ধরে তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে চলেছেন। তাদের দাবি মোদি সরকারের কৃষিবিরোধী তিনটি বিল প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এ আন্দোলন উত্তর ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে যারা দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রম করে সবুজ বিপ্লবের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন তারা ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় সবল হয়েছিলেন। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরপরই প্রচ- খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল। বর্তমান বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের সেই খাদ্যাভাব শুধু নির্মূলই হয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ম্ভর। শুধু তাই নয়, দেশের চাহিদা মিটিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশগুলো ছাড়াও কানাডা, ব্রিটেন, মালয়েশিয়ায় চাল রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এটা এখন বাঙালির অহংকারের বিষয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের জিডিপি বেড়েছে অত্যন্ত দ্রুতহারে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মোট জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ। ১৯৯৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৫ শতাংশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.১৫ শতাংশ। এ বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে দেশের অর্থনীতির আকারও। পাকিস্তানি দুঃশাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর মাত্র ৫০৭ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যাত্রা করেছিল যে ছোট্ট অর্থনীতির দেশটি সে দেশের বাজেট আজ ৫ লাখ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৭২ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০ ডলার। এখন তা ২০৬৪ ডলার। ফলে দারিদ্র্যের হার কমে অর্ধেক হয়েছে। মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের হারও দ্রুত বেড়েছে। জনসংখ্যা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যু হার, মেয়েদের স্কুলে পড়ার হার, সক্ষম দম্পতিদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের হার ইত্যাদি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতকেও পেছনে ফেলতে সমর্থ হয়েছে। যে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ, সেই পাকিস্তানিরা আজ বিস্ময় নিয়ে দেখে বাংলাদেশের জয়যাত্রা।

শিক্ষা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এজন্য তারা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম, নারী শিক্ষা এগিয়ে নিতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তির ব্যবস্থা; ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ; উল্লেখযোগ্য -সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ ইত্যাদি। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে ৯৭.৭ শতাংশে। শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত অভাবী-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’।

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি পরিধেয় পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশের ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। দেশের সব কটি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেওয়া  হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ। ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লাখ। পরিষেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু হয়েছে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং। এ ছাড়া জঙ্গি আন্দোলন দমনেও উল্লেখযোগ্য অবদান শেখ হাসিনার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কোনোরকম সন্ত্রাসবাদ বরদাশত করবেন না। জেএমবি, হুজি, জামায়াতের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর কোমর তিনি ভেঙে দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। বেশ কয়েক বছর আগে ঢাকার হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর শেখ হাসিনা অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এবং বহু জঙ্গি ধরেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে অনেক জঙ্গি প্রাণ হারায়। সে ঘটনার দিন পনের বাদেই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে, মজার কথা হলো, সে ঘটনাটিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আমলেই নিলেন না। ভয়ংকর বোমাকে ‘পটকা’ বলে আখ্যা দিলেন। বললেন, ও কিছু নয়, ছেলেরা একটু পটকা ফাটিয়েছে। অথচ ঘটনা হলো, সে বিস্ফোরণে জড়িত ছিল বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাসবাদীরা। তা প্রমাণও হয়ে গেছে এনআইএর তদন্তে। তাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছিল সন্ত্রাসবাদীরা এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। ১৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ধোপে টেকেনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ‘পটকা’তত্ত্ব। এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলাম এটা বোঝানোর জন্য যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের এক অঙ্গরাজ্যের প্রধানের কতটা তফাত! সম্প্রতি দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটল তার বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কড়া হাতে সামলেছেন পরিস্থিতি।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সাহায্য চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারতের সাহায্য পায়নি। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের ক্ষমতায় ও উদ্যোগেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতেও সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের এই সামগ্রিক সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম, দক্ষতা ও সততা নিঃসন্দেহে হাসিনা সরকারকে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে সাহায্য করেছে। পরিশেষে বলি, বাংলাদেশের এই সার্বিক উন্নয়ন দেখে শেখা উচিত প্রতিবেশী ভারতের। বঙ্গেশ্বরী মমতা ব্যানার্জি এখন স্বপ্ন দেখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বিজেপির মতো তিনিও কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে চান। মুখে বলছেন বিজেপি হটাও। অথচ বিজেপির মনোভাব নিয়েই কংগ্রেসকেও নির্মূল করে দিতে চাইছেন তিনি। কংগ্রেসকে গুরুত্বহীন করে কীভাবে তিনি দেশ চালানোর স্বপ্ন দেখছেন তা তিনিই জানেন। যাই হোক, তিনি যখন ভারতের মতো এত বড় দেশের শীর্ষে বসতে চাইছেন তখন তাঁর কাছে অনুরোধ করি- ২৫ জানুয়ারি শেখ হাসিনা যখন দিল্লিতে পা রাখবেন, ওই সময় আপনি তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে একটু ইতিবাচক মনোভাব নিন। এ ব্যাপারটা নিয়ে আর টালবাহানা করবেন না। বিশ্বের বৃহত্তর গণতন্ত্রের শীর্ষাসনে যিনি বসতে চাইছেন তার কাছে এটুকু দায়িত্ববোধ বোধহয় আশা করাই যায়।

                লেখক : প্রবীণ সাংবাদিক [ভারত]।

সর্বশেষ খবর