বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশন গঠন

দেশবাসীর আস্থা ফিরে আসুক

দেশের নির্বাচন পদ্ধতির ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপর নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া না হওয়া অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ যখন শেষ হওয়ার পথে তখন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি আগামী সপ্তাহেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০ ডিসেম্বর সোমবার জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে এ সংলাপ শুরু হবে। এমন সংলাপের মাধ্যমেই সার্চ কমিটি গঠন করে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই কমিশনের মেয়াদ আসছে ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে নতুন ইসি নিয়োগে সংলাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গভবন। সংলাপ শেষে সার্চ কমিটি গঠনের পর সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটি ইসি নিয়োগের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য প্রতি পদে দুই বা তিন জনের নাম প্রস্তাব করবে। ওইসব নাম থেকেই মূলত নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। দেশের সংবিধানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা থাকলেও সেই আসল কাজটি অর্থাৎ এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি ঝুলে আছে বছরের পর বছর। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতিও তাঁর পূর্বসূরির পথ অনুসরণ করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন, পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যও বেছে নিয়েছেন একই পথ। আমরা আশা করব সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম এবং ভোটাররা যাতে ভোট উৎসবে মেতে উঠতে উদ্বুদ্ধ হয় এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ সফল হবে। এজন্য যা যা দরকার সবকিছু নিশ্চিত করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর