রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুষঙ্গ

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তিন দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে স্বদেশে ফিরে গেছেন। তাঁর এ সফর বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় ও সুসংহতকরণে অবদান রাখবে এমনটিই আশা করা হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেশ। দুই দেশের সম্পর্ক কয়েক হাজার বছরের অভিন্ন ঐতিহ্যের অংশীদার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে এ মিত্র দেশটি। একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদারদের গণহত্যার মুখে ১ কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে মহান ভারত। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা লড়েছেন বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। দুই দেশের যোদ্ধাদের রক্ত ঝরেছে রণাঙ্গনে এবং তা রক্তের রাখিবন্ধন রচনায় অবদান রেখেছে। যে কারণে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ নিবিড় বন্ধনের সূত্র হিসেবে কাজ করে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বোধগম্য কারণেই বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে অংশ নিতে এসে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এমন একটি বাংলাদেশকেই তাঁর দেশ সমর্থন দিয়ে যাবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশে আমাদের বন্ধুদের আবারও আশ্বস্ত করছি ভারত আপনাদের অসাধারণ আন্তরিকতা এবং বন্ধুত্বকে মূল্যায়ন করে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই; উন্নয়নের মধ্য দিয়ে যৌথ সমৃদ্ধি অর্জন এবং আমাদের জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চাই। বাংলাদেশের যে মূল চেতনা- একটি প্রগতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তোলা সেই মূল্যবোধকে এগিয়ে নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছি ভারত এমন একটি বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্য বাংলাদেশের প্রতি তাঁর দেশের সহৃদ মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে। যা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের গাইডলাইন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিস্তা চুক্তিসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নেও তা আগামীতে অবদান রাখবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর