মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশেষে খুলে গেল দুই দেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে। আশা করা হচ্ছে এ সমঝোতা স্মারকের বদৌলতে নতুন বছরের প্রথম মাসেই আসিয়ানভুক্ত দেশটিতে কাজ নিয়ে যেতে পারবেন বাংলাদেশি কর্মজীবীরা। রবিবার মালয়েশিয়ার প্রধান নগরী কুয়ালালামপুরে দুই দেশের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার এ-সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা। সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। সে দেশের রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োগ এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইনস্যুরেন্স, করোনা পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনসহ সব খরচ মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বহন করবেন। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন। এর ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন খরচ হ্রাস পাবে। প্রত্যেক কর্মীকে মালয়েশিয়ার এমপ্লয়িজ সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় কর্মকালীন দুর্ঘটনা বা কাজের কারণে শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর যথাশিগগির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম বা এসওপি নির্ধারণ করা হবে। তার পরই শুরু হবে কর্মী নিয়োগের পালা। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মোচন হওয়া নিঃসন্দেহে একটি সুসংবাদ। কারণ এ শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধের আগে এটি ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি শুরু হওয়ার ফলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হবে ইতিবাচক সুযোগ।