শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জনসেবা শ্রেষ্ঠ সম্মান

দুই দেশের উন্নয়ন সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে

জনগণের সেবা করার সুযোগই একজন রাজনীতিবিদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালদ্বীপের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর রাজনীতিতে আসার ও নানা প্রতিকূলতার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিবেচনায় রাজনৈতিক যাত্রা বেছে নেওয়া অনেকের জন্য কঠিন। কারণ এখানে পেশাগত ও ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রে আত্মত্যাগের পথে হাঁটতে হয়। এখানে আছে অনিশ্চয়তা, ঝড়ঝঞ্ঝা। এর পরও অনেক পুরস্কার আছে, বিশেষ করে জনগণের সেবা করার সুযোগ।’ প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহ। দুই দেশের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগ; স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ে এমওইউ (নবায়ন), যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা এবং কর ফাঁকি ও পরিহার রোধ, আয়ের ওপর দ্বৈত কর বিলোপ। আলোচনায় তাঁরা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য ও কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে একসঙ্গে কাজ করতেও সম্মত হন দুই নেতা। দুই দেশের মধ্যে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) ও পারস্পরিক বিনিয়োগ সুবিধার জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর আবারও জোর দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মালদ্বীপে অনেক মানসম্পন্ন পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও ঢাকা-মালের মধ্যে ফ্লাইট চালু করার কথা ভাবছে। সরাসরি ফ্লাইটের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও পর্যটন সহযোগিতার আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। একটি সরাসরি শিপিংলাইন স্থাপনের সম্ভাবনাও পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক দৃঢ় হবে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন ২০২১ সাল বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয়  সম্পর্কের জন্য একটি যুগান্তকারী বছর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর