বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ : বিশ্বের বিস্ময়

শাবান মাহমুদ

বাংলাদেশ : বিশ্বের বিস্ময়

পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ কেবল একটি স্বাধীন ভূখন্ড কিংবা রাষ্ট্রই নয়, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। কবিতা, গান এবং মানুষের হৃদয়ে প্রিয় বাংলাদেশ যেন দখল করে আছে এক মায়ের স্থান। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল মাত্র নয় মাসেই অর্জিত হয় তার চূড়ান্ত বিজয়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বর গোষ্ঠীকে পরাভূত করে বীর বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। পৃথিবীর ইতিহাসে মাত্র নয় মাসে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জিত হওয়ার ইতিহাস বিরল। বিশ্ববাসী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে আজও গবেষণা করে, গর্ব করে। বাঙালি জাতি বীরের জাতি। এ বীর বাঙালির সূর্যসন্তান, মুক্তির দূত হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- বাঙালি জাতির হাজার বছরের পরাধীনতা হয়তো কোনো দিনও মুক্তি পেত না, যদি না বঙ্গবন্ধুর জন্ম হতো। যে মুহূর্তে বাঙালি জাতি বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে মহাগৌরবে ঠিক একই সময়ে উদ্যাপন করছে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এ মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশের সুযোগ্য নেতৃত্বে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৪৭ সালে ভারত থেকে পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হলেও পূর্ব পাকিস্তানের বৃহৎ জনগোষ্ঠী ছিল শোষিত নিষ্পেষিত। বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পাকিস্তান নামের একটি আলাদা ভূখন্ড পেলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কিংবা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ ছিল কার্যত অবহেলিত। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা চেয়েছিল বাংলা নামের ভূখন্ডকে চিরদিন নিয়ন্ত্রণে রাখবে পেশিশক্তি আর ক্ষমতার অপব্যবহার প্রয়োগ করে। বাংলা হবে পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের হাতিয়ার। বাঙালি জাতি থাকবে চিরকাল মেরুদন্ডহীন। বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন থাকবে কেবলই ঘুমন্ত। কিন্তু বিশ্ববিধাতার অপার কৃপায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। জাগ্রত বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশায় তাদের মুক্তির দূত হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় যে শিশুটির জন্ম হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বের প্রতি বাঙালি জাতির শতভাগ আস্থা আর ভালোবাসা যেন এক নতুন ইতিহাস রচনা করে। পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বর শাসকরা ক্রমাগত বুঝতে সক্ষম হয় যে বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবেই বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়েছে বাঙালি। এ উপমহাদেশের বাইরে ভাষার জন্য জীবন দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে বলে আমার জানা নেই। বাঙালি জাতি এতটাই হতভাগা যে আমাদের প্রাণের ভাষা মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির জন্যও সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেককেই জীবন দিতে হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মায়ের ভাষা। পশ্চিম পাকিস্তানের জনবিচ্ছিন্ন শাসকরা কেবল বাংলাদেশকেই দমন করতে চায়নি, আমাদের মায়ের ভাষাও কেড়ে নিতে চেয়েছিল, পারেনি। কেন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা সেদিন ব্যর্থ হয়েছিল? আর বাঙালি জাতির এ গর্বিত সাফল্যের পেছনে কার যুগান্তকারী ও বীরত্বগাথা নেতৃত্ব ছিল। মনে পড়ে? তিনি আমাদের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের প্রার্থনায় বাঙালির হৃদয়ে গাঁথা এক সূর্যসন্তানের নাম। যাঁর সাহসী নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ জেগে উঠেছিল। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষায় স্বীকৃতি দিতে গড়ে তুলেছিল এক ঐতিহাসিক আন্দোলন। আজ জাতিসংঘও স্মরণ করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারিকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই কার্যত বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাথমিক ভিত্তি রচিত হয়। বাঙালি জাতি আশায় বুক বাঁধে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে নিয়ে তাঁর রাজনৈতিক দল বাংলার গণমানুষের দল আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার কাজে হাত দেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ধাপে ধাপে অগ্রসর হন। বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য সবার আগে বাঙালি জাতিকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলেও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কখনো নিজের ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি, তাঁর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল পরাধীন বাঙালিকে স্বাধীন করা। যে কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পটভূমি রচনা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম কখনো বাধামুক্ত ছিল না। নানান প্রতিবন্ধকতা আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ পশ্চিমা শাসকদের বিরুদ্ধে একটি শক্ত বলয় তৈরি করে বাংলার আপামর জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে।

১৯৬৬ সালে ছয় দফা প্রণয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যান। বাংলার সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি জাগরণ সৃষ্টি করে। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের সমাবেশে স্বাধীনতার ডাক দেন। ৭ মার্চে ভাষণের পর বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেকে পরিচিত করেন এক আপসহীন সংগ্রামী নেতা হিসেবে। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতাকামী বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় অনেক মা তার সন্তানকে চিরতরে হারানোর আশঙ্কা করেও নির্দেশ দেন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিতে। বাবা তার সন্তানকে গৃহছাড়া করে হাসিমুখে বিদায় দেন স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করতে। আমাদের মা-বোনেরাও জীবনের মায়া ত্যাগ করে শুধু স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে। মহান সৃষ্টিকর্তা, বিশ্ববিধাতা বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবীতে হয়তো পাঠিয়েছিলেন বাংলার স্বাধীনতার জন্য। আর তাই একজন বিশ্বনেতার নির্দেশ পালনে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ মুহূর্তের জন্যও জীবনের কথা না ভেবে নেতার নির্দেশ পালনে প্রয়োজনে মরণের জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধ করেছে। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ৩ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। এরপর এসেছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বমানচিত্রে জায়গা করে নেয় একটি স্বাধীন ভূখন্ড, স্বাধীন রাষ্ট্র যার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্রষ্টা, মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিচিত হন বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখন সোনার অক্ষরে লেখা একটি নাম যিনি একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীন করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ রক্তে লেখা এক ইতিহাস, আর বঙ্গবন্ধু আজীবন বাঙালির হৃদয়ে ধারণ করা এক ভালোবাসার নাম।

এ বছর মহান বিজয়ের ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তী। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে কৃতজ্ঞতা আর পরম ভালোবাসায় স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একইভাবে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতকে। আমরা বিশ্বাস করি এবং অকৃপণভাবে স্বীকার করি, সেদিন যদি ইন্দিরা গান্ধী ও ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়াত তাহলে হয়তো মাত্র নয় মাসে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না।

১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরেই উচ্চাভিলাষী ও বিশ্বাসঘাতকের একটি দল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম এ হত্যাকান্ডে বিশ্ববাসী হতবাক হয়। আবার বাংলাদেশ যাত্রা করে পেছনে। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে চরম অন্তরায় সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ২১ বছর স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তি সুযোগ পায় রাষ্ট্র পরিচালনার। বাঙালি জাতির কণ্ঠে চেপে বসে অমানিশার অন্ধকার। এ সময় কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ জারি করে চিরতরে বন্ধ করা হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানরা যদিও সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে পরাজিত করে জনগণের রায়ে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আশাহত মানুষ আবার জাতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নেয়। মাত্র পাঁচ বছরেই শেখ হাসিনা তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণে বদলে দেন সবকিছু। উন্নয়নের জোয়ারে বদলাতে শুরু করে বাংলাদেশের দৃশ্যপট। ২০০১ সালে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত মোট চারবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন জনগণের বিপুল সমর্থনে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বভুবনে বাংলাদেশ এখন এক নতুন উচ্চতায়। বাংলাদেশ আজ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব সূচকে বিশ্বের বিস্ময়। ৫০ বছরের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। স্বাধীনতার সূচনালগ্নে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় যখন ছিল মাত্র ৯৭ মার্কিন ডলার আজ তা আড়াই হাজার মার্কিন ডলারের ওপরে। ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বাংলাদেশের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪৭ বছর এখন তা ৭৩। দারিদ্র্যের হার গত ৫০ বছরে কতটা কমেছে তা বোঝা যাবে ১৯৭২ সালের চিত্র বিশ্লেষণে। তখন বাংলাদেশের দরিদ্রতার হার ছিল প্রায় ৯০ ভাগ। স্বাধীন বাংলাদেশের যখন যাত্রা হয় তখন সাক্ষরতার হার ছিল ২৩ ভাগ, আজ তা প্রায় শতভাগ। এ ঐতিহাসিক সাফল্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফল। তাই তো আজ বিশ্বের খ্যাতনামা সাংবাদিকরাও প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাফল্য মডেল নাকি মিরাকল? আজ পাকিস্তানের সংসদে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন পাকিস্তানকে সুইডেন বানানোর স্বপ্ন দেখান তখন সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের কণ্ঠে শোনা যায় সুইডেন নয় আগে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।

আমাদের পরম শান্তি যে বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছিলেন বাংলার স্বাধীনতা আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি। জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক : মিনিস্টার (প্রেস) বাংলাদেশ হাইকমিশন নয়াদিল্লি, ভারত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর