শিরোনাম
শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি

স্বাধীন ফিলিস্তিনের বিকল্প নেই

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে রেখেছে সাত দশকের বেশি সময় ধরে। হাজার হাজার বছর আগেও মানব সভ্যতার আলো ছড়িয়েছে যে ফিলিস্তিনি জাতি তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে চলেছে। একসময় ফিলিস্তিনিদের দাবি ছিল ফিলিস্তিন হবে শুধু ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েল নামের চাপিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে তারা। এখন ফিলিস্তিনিদের সিংহভাগ আলাদা স্বদেশ পেলেই খুশি। স্মর্তব্য, চল্লিশের দশকে জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যের জন্য যে রোডম্যাপ প্রণয়ন করে তাতে ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে দুই ভাগ করে একদিকে ইহুদিদের নিয়ে ইসরায়েল এবং অন্যদিকে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের নিয়ে ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা রাখা হয়। আরব দেশগুলো এ প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে ও ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার প্রয়াস ঠেকাতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সে যুদ্ধে হেরে যায় আরবরা। পরে আরও দুটি যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা কার্যত উদ্বাস্তু জাতিতে পরিণত হয়। এতকাল সমস্বরে ইসরায়েলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এলেও এখন দু-একটি বাদে সব আরব দেশ তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। অন্যদিকে যুদ্ধ-সংঘাতের শিকার ফিলিস্তিনিরা ক্রমে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা না দিয়েই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এ যোগাযোগকে শান্তি আলোচনায় রূপান্তরের প্রক্রিয়াও চলছে। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েল সফর করেছেন। ২০১০ সালের পর এই প্রথম ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফর। মঙ্গলবার তিনি সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক করেছেন নিরাপত্তা ও অসামরিক বিভিন্ন বিষয়ে। স্মর্তব্য, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের আয়ের একটা বড় অংশ আসে ইসরায়েল থেকে। ফিলিস্তিনিদের জন্য আমদানিকৃত পণ্যের ভ্যাট হিসেবে। বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিও কাজ করেন ইসরায়েলে। আগস্টে এসব বিষয়ে কথা বলতে ফিলিস্তিনে গিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা -মন্ত্রী। আমরা আশা করব মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই পক্ষই যত্নবান হবে। এজন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর