রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন

বদলে যাচ্ছে শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দেখতে দেখতে শতবর্ষ হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। জ্যেষ্ঠতায় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের দ্বিগুণ বয়স এ বিদ্যায়তনটির। পূর্ববঙ্গের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা হলেও দরিদ্র হিন্দুরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত হয়েছেন। শুধু হিন্দু-মুসলিম নয়, সব ধর্ম-বর্ণ এবং আদিবাসীদের জন্যও এ বিশ্ববদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত ছিল এবং আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে অন্তঃপুরবাসিনী নারীদেরও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত হয় এবং অনেকেই সে সুযোগ গ্রহণ করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অবারিত প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হন। এখন অনেক বিভাগে ছাত্রীরা বিদ্যার পারদর্শিতায় ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে।

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি পূর্ববাংলার পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জীবনে এক ‘বৌদ্ধিক বিপ্লব’ হিসেবে আবির্ভূত হয়। বঙ্গভঙ্গের ক্ষতিপূরণস্বরূপ ‘ইমপেরিয়াল কমপেনসেশন’ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় এটি একটি সাম্প্রদায়িক বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে অনগ্রসর একটি জনগোষ্ঠীর জীবনে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অবারিত করে দিয়ে শুধু শিক্ষা ও গবেষণাই নয়, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ এবং শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশেও অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ স্নাতকরাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। পিছিয়ে পড়া একটি জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অনন্য ভূমিকা তা বিশ্বের ইতিহাসে খুব বেশি পাওয়া যাবে না। তবে এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে ১৯২১ থেকে ১৯৭১- প্রথম ৫০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং বিশ্বে যে শ্লাঘা-উদ্রেককারী অর্জনে অভিষিক্ত হয়েছে পরবর্তী ৫০ বছরে অর্থাৎ ১৯৭১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত নানা সূচকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে ভাটার টান লেগেছে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও সামরিক শাসকদের বৈরিতা উপেক্ষা করে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম দুটি দশক বিশ্ববিদ্যালয়টি মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকলেও নব্বইয়ের দশকের পর বিদ্যাবিতরণ ও জ্ঞানের অন্বেষণসহ নানা ক্ষেত্রে শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানটি ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করে।

দুই. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা আলোচনা, বিতর্ক ও বাহাস চলছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বললেই চলে। যা হোক, নানা হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে একটি খবরে শুধু উৎফুল্লই হইনি, রীতিমতো আশাবাদী হতে শুরু করেছি। খবরটি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য ১৫ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা।

কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো পরিবর্তনে ১৫ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নিশ্চিতভাবেই বদলে যাবে শতাব্দীপ্রাচীন এ ক্যাম্পাসের বর্তমান চিত্র। ১৫ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনায় ৫৯৯টি পুরনো স্থাপনা ভেঙে ৯৭টি উঁচু ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি ১০ তলা ভবন বা তার চেয়েও উঁচু। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডেটেক্স (ডেটা এক্সপার্ট প্রাইভেট লিমিটেড) এ মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে ৯ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মহাপরিকল্পনায় নতুন একাডেমিক ভবন ছাড়াও আছে একটি আধুনিক গ্রন্থাগার, আধুনিক সুবিধাসংবলিত চিকিৎসা কেন্দ্র, জিমনেসিয়াম, মেয়েদের জন্য সুইমিং পুল এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এতে বাইসাইকেলের জন্য আলাদা লেন, ওয়াকওয়েসহ নতুন রাস্তা, খেলার মাঠের উন্নয়ন, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা, সবুজায়ন এবং জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মহাপরিকল্পনাটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে ২৮টি ভবন হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ২০ তলার একটি প্রশাসনিক ভবনও রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উত্তর-পশ্চিম অংশটি ভেঙে সেখানে ১২ তলা ভবনের প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩০৪ দশমিক ২১ একর জমির ওপর অবস্থিত। মূল ক্যাম্পাস শাহবাগ, কাঁটাবন, পলাশী এবং কার্জন হল এলাকায় ২৭৬ দশমিক ২৮ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে মোট আয়তনের ২৬ শতাংশ এলাকায় ৯৮৫টি ভবন রয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে মোট আয়তনের ২১ শতাংশ জায়গা বিভিন্ন ভবনের দখলে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী মহাপরিকল্পনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আবাসন ও অন্য সমস্যাগুলো কমাবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী, ২৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং ২২ শতাংশ কর্মচারীর আবাসন সুবিধা আছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী, ৫৩ শতাংশ শিক্ষক ও কর্মকর্তা এবং ৩৫ শতাংশ কর্মচারী আবাসন সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তিন. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাপরিকল্পনার খবরটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক। ডেইলি স্টার বাংলা ৪ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষাবিদ, ভবন পরিকল্পনাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এ ব্যাপারে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলেন। সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই অধ্যাপক আরও বলেন, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে শিক্ষার মান কীভাবে বাড়ানো যায় তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলাদা পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। লেখক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পনা শুধু প্রকৌশলীদের দ্বারা করা উচিত নয়- এতে দেশের সেরা স্থপতি, নন্দনতত্ত্ববিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং বাস্তুবিদ্যা ও বনবিদ্যা বোঝেন এমন পরিবেশবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষণ ‘মানবিক স্কেল’ মডেল, যেখানে কার্বনের গতিশীলতা কম এবং এটি জনবহুল নগরের বিকল্প বিস্তৃতি হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘মানবিক স্কেল’টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষণ এবং আমরা ইতিমধ্যে কিছু উঁচু ভবন নির্মাণ করে এটি ধ্বংস শুরু করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, পরিবেশ, উন্মুক্ত স্থান, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার সুরক্ষা, যোগাযোগ, জলাবদ্ধতার সমাধান ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা প্রকৌশলী ও নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করে মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো একাডেমিক ও গবেষণার চাহিদা পূরণ করা।’ মহাপরিকল্পনার কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা অনলাইনে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েছি, সিন্ডিকেটে প্ল্যান পাস করেছি এবং অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হবে।’

চার. যে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা প্রদান, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক চেতনা ও বৈশ্বিক মূল্যবোধ সঞ্চারের পাশাপাশি জাতিসত্তার বিকাশসহ দুটি নতুন রাষ্ট্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, উচ্চশিক্ষার সেই আলোকবর্তিকাটিকে অনেক আগেই ঢেলে সাজানো উচিত ছিল।

কিন্তু বিলম্বে হলেও তেমন একটি উদ্যোগ পুরো জাতির জীবনে গুণসঞ্চারী ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। এজন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদার্হ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁর সহজাত সংবেদনশীলতা ও দৃঢ় অঙ্গীকার আছে বলে মনে হয়। উপরন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ কামালও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গভীর আবেগ থাকাটা স্বাভাবিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভানুধ্যায়ীদের তরফ থেকে বিনীতভাবে কয়েকটি দাবি পেশ করছি- ১. শুধু ৯ হাজার কোটি টাকা নয়, প্রয়োজনে বরাদ্দ বাড়িয়ে মহাপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে শতাব্দীপ্রাচীন এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা বিশ্বের একটি উত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করুন, যেখানে বিভিন্ন দেশ এবং মহাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য আসবেন। ২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পেশাল স্ট্যাটাস বা বিশেষ মর্যাদা প্রদান করুন। ৩. বঙ্গবন্ধু যেহেতু আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন সেজন্য ‘বঙ্গবন্ধু আইন অনুষদ’ নামে আইন অনুষদের নামকরণ করে আলাদা একটি ভবন নিয়ে একটি ‘মডেল অনুষদ’ করার চিন্তা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি পাহাড়ের ওপর সবুজ গাছপালার মধ্যে ‘লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি’ গড়ে তুলেছে। এটি তারা করেছে তাদের জাতির পিতা লি কুয়ান ইউর নামে। ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অনেক হাসপাতাল, কলেজ, নিউমার্কেট ও বিপণিবিতানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষার পরিবেশ প্রায়ই বিঘিœত হচ্ছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে অথবা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ফ্লাইওভার নির্মাণ করে বাস, ট্রাকসহ বহিরাগতদের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করা প্রয়োজন। ৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারি-বেসরকারি ও অ্যালামনাইদের উদ্যোগে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ‘গবেষণা তহবিল’ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ।

পরিশেষে প্রগতির পথ পরিক্রমায় শতবর্ষী এ বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

                লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

সর্বশেষ খবর