রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পুঁজিবাজার

অর্জন ধরে রাখতে হবে

এক দশক পর শেয়ারবাবাজারে এখন কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পরিবর্তন। করোনার কারণে বিনিয়োগ না থাকায় ইতিমধ্যে পুঁজিবাজারে অলস টাকা ঢুকেছে, কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহার কমেছে। নানাভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এসেছে। সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে তারল্যসংকট অনেকটাই কেটে গেছে। এসব কারণে দীর্ঘ এক দশক পর গতিশীল হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। ২০২১ সালে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোরতম লকডাউনের মধ্যেও পুঁজিবাজার চালু থাকে। নতুন উচ্চতায় পৌঁছে বাজার মূলধন ও লেনদেনে সেকেন্ডারি বাজারে যুক্ত হন বিপুলসংখ্যক নতুন বিনিয়োগকারী। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের সব ধরনের বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়ায় প্রধান শেয়ারবাজারের লেনদেন বিগত ১০ বছরে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে প্রথমবারের একটি সুকুক বন্ড ও ১৪টি কোম্পানি- মোট ১৫টি কোম্পানি বাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে ১ হাজার ৬৫৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। এ ছাড়া চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের পুঁজিবাজারে এ পরিবর্তন। পুঁজিবাজারের গতিশীলতা ধরে রাখতে দেশ ও দেশের বাইরে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা বা ডিজিটাল বুথ চালু করা হয়েছে। আইপিওর শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হারাহারি অনুসারে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘ এক দশক পর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে দেশের শেয়ারবাজার। ডিএসইর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। লেনদেনের পাশাপাশি অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের আশা এ অর্জন নতুন বছরে পুঁজিবাজারে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর