সোমবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

৪০ লাখ মামলার জট

পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগের উদ্যোগ নিন

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে গতকাল এজলাসে বসেছেন ৪০ লাখ মামলার স্তূপ সামনে রেখে। তিনি এমন এক সময় দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন যখন মামলার স্তূপে আদালতসমূহে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। বিচারক স্বল্পতা রয়েছে নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ পর্যন্ত। বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা মাত্র ৩। প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও তিনজন বিচারপতি নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল। যদিও তখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলা ছিল ৪ হাজার ৫৬টি। আর বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশি। আইনজ্ঞদের মতে, আপিল বিভাগসহ দেশের সব আদালতের বিচারক স্বল্পতা নিরসন, বিচারাঙ্গনের দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ, করোনাসহ সংকটকালীন মুহূর্তে বিচারব্যবস্থা সচল রাখতে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন ও নতুন প্রধান বিচারপতির সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালেও আপিল বিভাগে ছিলেন নয়জন বিচারপতি। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেলে আপিল বিভাগে বিচারক সংখ্যা চারে দাঁড়ায়। এরপর প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেওয়ার পর সে সংখ্যা তিনে দাঁড়ায়। নতুন প্রধান বিচারপতিকে তার ২১ মাসের সময়কালে মামলাজট কমানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এ জন্য সব আদালতে পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি। বিশেষত, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ জরুরি হয়ে উঠেছে। বলা হয়ে থাকে, বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতার নামান্তর। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগে যে বিচারক সংকট বিরাজ করছে তার অবসান ঘটাতে হবে। পাশাপাশি মামলাজট কমাতে বিচার যাতে ঝুলে না থাকে তা নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের সহযোগিতা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর