শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নো টিকা নো সার্ভিস

স্বাস্থ্যবিধি ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞানীরাও এ ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত হয়ে নতুন এ রূপটি পেয়েছে। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারে বলা হয়েছে, প্রথমে এ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল বতসোয়ানায়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। এর পরপরই শনাক্ত হয়েছে হংকংয়ে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায় এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পরই দেশটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছিল। তারা বলেছিল, এটি আরও ছড়াতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনের যে রূপান্তর তা উদ্বেগের। কারণ এর বিরুদ্ধে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা টিকা নেওয়ার কারণে যে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তা কাজ করবে কি না। বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঠেকাতে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’-এর পর এবার ‘নো টিকা নো সার্ভিস’ নীতির পথে যাচ্ছে সরকার। যে কোনো সরকারি সেবা নিতে হলে টিকার সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী টিকার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টের মতো শপিং মলেও প্রবেশ করা যাবে না। ট্রেন, বিমান, লঞ্চেও চলাচলে দেখাতে হবে এ সনদ। জনসমাগমের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হতে পারে। এমনকি প্রথম ডোজের টিকা ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকাতেই মূলত ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। আর এ ভাইরাসটির সংক্রমণ-ক্ষমতা ৬ গুণ বেশি হওয়ায় দ্রুত তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ওমিক্রন প্রতিরোধে আগের মতো আবারও বিধিনিষেধের পথে যাচ্ছে সরকার। তবে ওমিক্রন ঠেকাতে গেলে কঠোর হতেই হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম সীমিত রাখতে হবে। মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর