রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ওমিক্রন আতঙ্ক

সতর্ক হতে হবে সবাইকে

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। নতুন এ ধরন বারবার জিনগত রূপ বদলাতে সক্ষম। ধরনটির কারণে বিশ্বে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিভাগের প্রধান চিকিৎসা পরামর্শক নতুন এ ধরনকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ’ বলে বর্ণনা করেছেন। মূলত জিনগত রূপ বদলের বিষয়টির ওপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানীদের পূর্বানুমান, এ ধরনটি আরও বেশি মাত্রায় সংক্রমণ ঘটাবে এবং এর আগে অন্য ধরনের কারণে যাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তারা পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে উৎকণ্ঠা তৈরি করছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে করোনা শনাক্তের হার। সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রতিরোধে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যেই দেওয়া হয়েছে ১৫ দফা নির্দেশনা। রোগী বাড়লে পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতাল। ওমিক্রন সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিসৎকরা দুটি বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। প্রথমত সক্ষমতা বাড়ানো এবং দ্বিতীয়ত প্রতিরোধ। ইতোমধ্যে স্থলবন্দর, বিমানবন্দর, নৌবন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় কোয়ারেন্টাইন জোরদার করতে বলা হয়েছে। এটা নজরদারি করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোনো ব্যক্তি দেশে আসার সময় অ্যান্টিজেন টেস্ট পজিটিভ থাকলে তার আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। আরটি-পিসিআর টেস্টে পজিটিভ এলে তাকে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আক্রান্ত দেশ থেকে এলে নেগেটিভ সনদ থাকলে তারা নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী কমে আসায় হাসপাতালগুলোয় নির্দিষ্টসংখ্যক শয্যা রেখে নন-কভিড রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত বাড়লে আবার আগের মতো হাসপাতালগুলোয় কভিড রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর