মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনী সংস্কৃতি

নারায়ণগঞ্জ হোক সবার জন্য উদাহরণ

নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে। দেশে যে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন সম্ভব তা প্রমাণ করেছে রাজধানীর বর্ধিত অংশ হিসেবে বিবেচিত এ বন্দরনগরের মানুষ। রবিবারের এ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে হ্যাটট্রিক বিজয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের প্রাপ্ত ভোট ৯২ হাজার ৫৬২। মেয়র পদে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মাছুম বিল্লাহ ২৩ হাজার ৯৮৭। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীন অনুষ্ঠিত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও নারায়ণগঞ্জ ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে। দেশবাসী যখন ভোটের সংস্কৃতিতে ফেরার জন্য আকুল তখন আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছে নারায়ণগঞ্জের মানুষ। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে এ বন্দরনগরে দল বা ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে বাগ্যুদ্ধের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু তা কখনো মাত্রা ছাড়ায়নি। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ বিঘ্নিত না করার উদারতাই দেখিয়েছেন; যা নির্বাচনের সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়েছে, তেমন নারায়ণগঞ্জ সম্পর্কে সারা দেশে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। নির্বাচনে ১৪ কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বিএনপি সমর্থকরা জিতেছেন নয়টি পদে। প্রধান দুই দলের বাইরে জাতীয় পার্টি দুটি ও বাসদের একজন কাউন্সিলর হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে গণতন্ত্র জয়ী হোক, ভোটের সংস্কৃতি ফিরে আসুক এ ছিল সচেতন দেশবাসীর প্রার্থনা। সে প্রার্থনা পূরণ হয়েছে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে। দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে নারায়ণগঞ্জ হোক সবার জন্য উদাহরণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর